ঢাকা: আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের পর্যটনবিষয়ক সংস্থা ঘোষিত এ দিবসটি সব সদস্য দেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে।

তবে উদযাপন আর আলোচনাই সার। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, পর্যটক আর শস্য শ্যামল দেশটায় আসতে চায় না।

এই অবস্থার জন্য দায়ী ইউনূস। দেশে যে হারে জঙ্গী জেহাদির চাষ হচ্ছে, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের যেমন গলায় গলায় ভাব হয়েছে তাতে পর্যটক আসবে কীভাবে?

সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন তো চলছেই ক্রমাগত। মব, খুন, হয়রানি, পর্যটকদের ছিনতাই, এইসব বহু কারণে পর্যটন খাত ভেঙে পড়েছে।

বাংলাদেশে কী নেই? প্রকৃতি অকাতরে দিয়েছে। কিন্তু রাখার মানুষ লাগবে তো! লোভ, লালসায় তো সব ধ্বংসের পথে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, পাহাড় আর সবুজ উপত্যকা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য—সবই আছে।

কিন্তু এখন নেই বিদেশি পর্যটক। আশার কথা শুনিয়েই দায় সারছেন নীতিনির্ধারকরা, আর অন্যদিকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার পথে হাঁটছেন উদ্যোক্তারা।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, প্রচারণার অভাব এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার ত্রিমুখী চাপে দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত এখন মারাত্মক অস্তিত্ব সংকটে। বিদেশি অতিথির অভাবে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে সব আয়োজন।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তাঘাট, মানসম্মত হোটেল-মোটেল এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে প্রচুর। এই অবস্থায় পর্যটক আসবে কীভাবে?

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা, প্রচারণা দরকার, সেগুলো কী একটাও দেখা যাচ্ছে?

পর্যটকদের নিরাপত্তা নেই বাংলাদেশে। ভিন দেশ থেকে টাকা খরচ করে, মনের আনন্দে কেউ তো ছিনতাইর কবলে, মবের কবলে পড়তে আসবে না।

প্রায়ই পর্যটকদের হয়রানির শিকার হওয়ার খবর পাওয়া যায়, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।

ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিদেশি পর্যটকদের বুকিং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমেছে।

কক্সবাজার, সুন্দরবন বা সিলেটের মতো আন্তর্জাতিকমানের গন্তব্যগুলোয় ইউরোপ-আমেরিকার পর্যটকদের আনাগোনা এখন নেই বললেই চলে।

এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘টেকসই রূপান্তরের জন্য পর্যটন’।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে পর্যটন খাতে। তারপর তো আছে প্রায় ২০টি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।

আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি রেখেছে। ফলে বিদেশি পর্যটক ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমে গেছে।

এই অবস্থা যখন দেশের, তখন ইউনূস নিজেই লটবহর নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত আছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *