ঢাকা: যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো খুলেছে আর? আর খুলবে না।এটাই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ। ইউনুস ম্যাজিক। শেখ হাসিনা তো খারাপ ছিলেন, এখন?
নাসা, বেক্সিমকো, মাসকট গ্রুপ সহ বন্ধ পোশাক শিল্প কারখানার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। প্রায় ১৫৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধ, বেকার প্রায় ২ লক্ষাধিক শ্রমিক। এ সমাজ কি এত বেকারত্বের চাপ সইতে পারবে?
আর ইউনূস বিদেশে গিয়ে গলগল করে বেকারত্বের কথা বলে সাধু সাজছেন।
যুব বেকারত্ব বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন ফর ইয়ুথ’-এর ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় যোগ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বয়স ৮৫। তাই আন্তঃপ্রজন্ম সহযোগিতার গুরুত্ব আমি গভীরভাবে অনুভব করি। গত বছর বাংলাদেশে আমরা দেখেছি তরুণদের অসাধারণ শক্তি।
তারা সাহসিকতার সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে চলা স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছে, দেশের পথ নতুনভাবে নির্ধারণ করেছে এবং সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর চালাতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে।’
এদিকে নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা মানববন্ধন করছেন। এই যে ২৫০০০ শ্রমিক বেকার হয়ে গেলো এদের দায় কে নেবে?
সাভারের আশুলিয়ায় নাসা গ্রুপের বন্ধ কারখানা দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন করছেন পোশাকশ্রমিকরা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের নিশ্চিতপুর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নারী-পুরুষ মিলিয়ে কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নেন।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি নাসা গ্রুপের মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ১৬টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
এতে একসঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নতুন করে কোথায় চাকরি পাওয়া যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন তাঁরা।
এর আগে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকেও বাইপাইল-আব্দুল্লাহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা।
আশা গ্রুপের আশপাশের লোকজন ও পথচারীরা জানান, নাসা গ্রুপের বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ বকেয়া বেতন ও পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে সকাল ৮টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক ছেড়ে দিতে বলেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
উল্লেখ্য, আশুলিয়ায় নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে।
