ঢাকা: রাজাকার, পাকিস্তানি ভারতের বিরুদ্ধে উস্কে তুলছে জনগণকে। এরা দেশটাকে নিজেরা নিজেরাই গাজা বানানোর জন্যে তৈরি হচ্ছে।
যাদের নিজের দেশের প্রতি কোনো দয়ামায়া নেই, দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে সেই ৭১ থেকে, এরা এখনো নিঃশেষ হয়নি।
অবৈধ দখলদার ইউনুসের সাথে রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ তাহের।
সেখানে জামাতের এক প্রোগ্রামে তিনি সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করে ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ বাস্তবায়নের আশা ব্যক্ত করেছেন।
এই পাকিস্তানির কথা শুনে বাংলাদেশের রাজাকাররা লাফাচ্ছে।
আর এই উগ্রবাদী বক্তব্যকে শুধুমাত্র একটি দলীয় বক্তব্য হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, কেননা তাহের জাতিসংঘ অধিবেশনের বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছে। অতএব এই বক্তব্যকে ইউনুস সরকারের বক্তব্য হিসেবেও ধরে নেয়া যায়।
ভারতের প্রতি এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য ইউনূসও করেছেন। ডঃ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টার পদে বসার আগেই ফ্রান্সে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বাংলাদেশে অশান্ত হলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সও অক্ষত থাকবে না।
চীন সফরে গিয়ে ইউনুস চীনের রাষ্ট্রপতিকে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে ব্যবসা সম্প্রসারণের আহবান জানিয়েছেন। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অস্থিরতার সময় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
অবশ্য এর ফলাফল কী হবে, তা ভারত দেখিয়ে দিয়েছে। এবং ভুগছে বাংলাদেশ।
গত এক বছর ধরে প্রতিনিয়ত এই রাজাকারের বাচ্চারা উস্কানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে।
কারণ ডঃ ইউনুস যেকোন মূল্যে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চান। নির্বাচনী মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন জনগণের সামনে। তিনি একজন ধূর্ত ব্যক্তি।
সুযোগ পেলে ইউনুস আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন। সরাসরি নিজে সেইভাবে না বলে, বোকা বোকা ভাব নিয়ে আছেন।আর জামাতকে দিয়ে উস্কানি দিচ্ছেন।
তার মূল দুই সহচর জামাত ও এনসিপিকে দিয়ে প্রতিনিয়ত আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
তবে ভারত যে কোনোভাবেই ছেড়ে কথা বলবে না সে ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে। ভারত এখনো ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চলেছে।
আর ভারত ক্ষেপলে বাংলাদেশের পরিণতি কি হবে সেটাও ভেবে দেখতে হবে।
এই জামাত জাতীয় বেইমান এই রায় কেবল অতীতের নয়, বর্তমানের প্রতিও সমানভাবে প্রযোজ্য।এরা মহা শয়তান। লেবাসধারী।
জামাত অসভ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য হিংসা ছড়াচ্ছে। এটি একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই জামাতের ভূমিকা ছিল নারকীয়। সেই ইতিহাস আজও ঢাকতে চায় তারা। কিন্তু শত অভিনয়, শত প্রচারণা দিয়েও মুক্তিকামী জাতিকে ভুলিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে।’
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যোগে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা.তাহের বলেন, ‘অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি দোয়া করতেছি এরা যেন ঢুকে পড়ে। ভারত ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে চাপানো হয়েছিল। তখন আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার একটা সুযোগ পাব।’
এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘পাশের দেশের লোক ঢুকলে আওয়ামী লীগ কখনো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তো করবেই না বরং সহযোগিতা করবে। তাহলে যুদ্ধ করলে সংগঠিত শক্তি হলাম আমরা। তখন আমরা হবো খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা।’
তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক তো ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাযুদ্ধে আসবে। তাদের দুই ভাগ করে দেব।এক ভাগ গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেবে, বাকিরা বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে।’
