ঢাকা: বাংলাদেশে সম্প্রীতি আছে? জঙ্গী, জেহাদিরা সম্প্রীতি বজায় রেখেছে? প্রতিদিন চোরের মতো মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর, আগুন দেয়া, হিন্দু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এগুলো তো চলছেই।
এই বাংলায় যদি সম্প্রীতি মনোভাব রাখতো উগ্রবাদী মুসলমানরা তাহলে হিন্দুরা কেন দেশ ছাড়ছে? কে চায় নিজের বাপ দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে পরদেশী হতে?
সনাতনীরা কেন বাধ্য হচ্ছে? কার জন্যে বাধ্য হচ্ছে? ভয়াবহ অবস্থা দেশের, কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিন্দাস আছেন। কোনো চিন্তা নেই। তিনি কিছু দেখছেন না, গান্ধারী তিনি।
সবকিছু তথা হিন্দুদের উপর অত্যাচার তাঁর কাছে গুজব মনে হয়।
তাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ বছর নির্বিঘ্নে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা নিয়ে কোথাও কোনো শঙ্কা নেই।
সারাদেশে পূজা মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি এক লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে গুজব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ বছর নির্বিঘ্নে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা নিয়ে কোথাও কোনো শঙ্কা নেই। সারাদেশে পূজা মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি এক লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
তিনি বলেন, এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৫৫টি, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় এক হাজার বেশি।
এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকছেন। এ ছাড়া ৭০ হাজার পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর এক লাখ সদস্য ও ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।