ঢাকা: আফগানিস্তানের পথেই বাংলাদেশ? মামুনুল হকের সফর ঘিরে তালেবানি শাসনের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
আফগানিস্তান থেকে ফিরে তাঁর কথাবার্তা মোটেও সহজ মনে হচ্ছে না। ৫০১ নাম্বার মামুনুল হকের চরিত্রে কলঙ্ক তো আগে থেকেই আছে, এইবার মনে হয় পুরোপুরি সুবিধা নিয়েই ছাড়বেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। আপনারা জানেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয়ে জরিপ চালানো হয়েছিল। সেখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শরিয়াহ শাসন চেয়েছে। দেশের মানুষ তো শরিয়াহ আইন চাইছে। এটাকে কেন জোর করে তালেবানি শাসন বলে শরিয়াহ আইন চাওয়ার গণ–অভিপ্রায়কে গলা টিপে হত্যা করা হবে।
এটাকে আমরা খুব খারাপ মনে করি। মুসলমান মাত্রই তার মধ্যে শরিয়াহ আইনে শাসিত হওয়ার একটা অভিপ্রায় আছে। কারণ, মানুষের পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শরিয়াহর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা পরিপূর্ণ হতে পারে না।
— মামুনুল হক, আফগানিস্তান থেকে ফিরে প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন!
প্রশ্ন হচ্ছে, কমিশনের যেই জরিপে ৭০/৮০ ভাগ মানুষ শরীয়াহ আইন চেয়েছে, সেই জরিপটা কবে করা হয়েছিল? সেটা কোথায় পাবলিক হয়েছে?
এই মিথ্যাবাদী জালেমরা কোনো তথ্য বলতে পারবে না।
অথচ দেশজুড়ে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। কম বয়সীদের মধ্যে যুদ্ধ, অস্ত্র, রক্ত ঢুকাচ্ছে।
তিনি বলেন, সেখানে কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন (৫০ লাখ) মানুষের হাতে ভারী রকমের অস্ত্র আছে। মানুষের হাতে হাতে অস্ত্র, কিন্তু গত চার বছরে কোনো মারামারি, হানাহানি, রক্তপাতের ঘটনা নেই।
ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা শোনা যায় না। তারা অল্প সময়ের মধ্যে একটা দারুণ নিরাপত্তার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
তিনি এই কথার মধ্যে দিয়ে কী বোঝাতে চাইলেন? হাতে হাতে তাহলে এখন অস্ত্র দেয়া হবে?
এইদিকে, আমাদের অহংকার বইমেলা বাতিল করা হয়েছে, যার অনেক বড় বেনিফিসিয়ারী তহবিল হারিয়ে পথে বসবে। সবকিছুর একটা সুন্দর যোগসূত্র আছে।
খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সাম্প্রতিক আফগানিস্তান সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
৫০১ এর আফগানিস্তান সফর শুধু ভ্রমণ নয়, এটিও একটি নীলনকশা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি এনজিওর সহায়তায় তার এই সফর মোটেও ভ্রমণ নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের আড়ালে লুকিয়ে আছে আফগানিস্তানের মডেলে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার বিপজ্জনক নীলনকশা।
সূত্র মতে, আফগানিস্তানে তালেবানের রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতি, শাসন কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করাই ছিল মামুনুল হকের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।
এরা আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশকে সেই পথে নিয়ে যাবে এরা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণ এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত। প্রতিরোধ গড়ে না তুললে, রাজপথকে কাজে না লাগালে ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে আর দেরি নেই।