কুষ্টিয়া: ইচ্ছে করে ফের একটা দাঙ্গা বাঁধানোর প্রয়াস করা হচ্ছে।
ইউনূসের প্রশাসনকে কে অধিকার দিলো প্রতিমার মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকার?
এখন অসুর কেমন হবে, সেটারও গাইডলাইন করে দিতে হবে?
সাব্বাস অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ! সনাতনীদের ধর্ম পালনে কি স্বাধীনতা বাহ বাহ
মুখে দাড়ি গোঁফ থাকার কারণে নাকি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন কুষ্টিয়া জেলার ৩৮ টি মন্দিরে অসুরের মুখ গামছা দিয়ে ঢেকে রেখে দিয়েছে।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে বিষয়টিকে ‘অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, শিল্পীদের নকশা বা রূপসজ্জায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দরকার নেই।
লাল কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকার ফলে এদেরকে এখন লাল বদর লাগছে। ২০২৪ এর লাল বদররা অসুরই ছিল বটে। আদ্যাশক্তির হাতে যেভাবে অসুরবধ হয়েছে। এরাও সেরকমই হবে।
শাস্ত্রে উল্লেখিত বহু দেব ,গন্দর্ভ , অসুর ইত্যাদির গোঁফ , দাড়ি আছে এখন কি সেগুলোও?
গোঁফ ,দাড়ি তো সম্প্রদায় নির্বিশেষে সাধারণ পুরুষের মুখে ওঠে তাহলে গোঁফ , দাড়ি ওঠার কিংবা রাখার অধিকার কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের হবে?
তাহলে কি দাড়ি মানেই উগ্রবাদী? প্রশাসন তো তাই বুঝিয়ে দিলো!
কোনোদিকে হচ্ছে না, এখন প্রশাসন মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে অসুরের মুখ চেক করছে। কারো মুখে দাড়ি থাকলে সেসব কাপড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। আচ্ছা অসুরের কি দাড়ি রাখারও স্বাধীনতা নাই?
এদিকে, আবার একদল হাতে ট্রিমার নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বাউল, সাধু, ফকিরের জটা, চুল, দাড়ি কেঁটে দিচ্ছে আর প্রশাসন মন্ডপের অসুরের দাড়ি ঢেকে দিচ্ছে। এ কেমন কথা হলো?