ঢাকা: আজ অসুরের মুখ ঢেকেছে, কাল দুর্গা মায়ের মুখ ঢাকবে, পরশু বলবে পুজো বন্ধ করো! এভাবেই চলবে দেশ। এই দেশে হিন্দুরা কোনোদিন শান্তি পায়নি, স্বাধীনতা পায়নি। আর কবে হবে?
শারদীয় দুর্গাপূজার সময় কুষ্টিয়া ও নাটোর জেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে প্রতিমার অসুরের মুখ কাপড় ও গামছা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার ৩৮টি পূজা মণ্ডপ এবং নাটোর জেলার বেশ কয়েকটি মণ্ডপে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসন কোথায় হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে, তা নয় উল্টো এরা এই কাজ করেছে। এইভাবে পুজো হয়?
কুষ্টিয়ার একটি পূজা মণ্ডপের আয়োজক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “আমরা প্রতি বছর ঐতিহ্য মেনেই প্রতিমা তৈরি করি। অসুরের ferocious (ভয়ংকর) রূপ ফুটিয়ে তুলতে দাড়ি-গোঁফ ব্যবহার করাটা শিল্পীর স্বাধীনতার অংশ। এটি কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ইঙ্গিত করে তৈরি করা হয়নি।
কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে বললেন, এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমাদের মুখ ঢেকে দিতে বলা হয়েছে।”
অবৈধ ইউনুস সরকার এখন দুর্গোৎসবকেও নিয়ন্ত্রণ করছে।
বাংলাদেশে হাজার বছরের ঐতিহ্য, আবাহমান কাল থেকে চলে আসা শারদীয় দুর্গোৎসব আজ এক ভয়াবহ নিয়ন্ত্রণ ও দমননীতির শিকার।
এই সরকার শিল্প-সংস্কৃতির জায়গাতেও থাবা বসিয়েছে।
প্রতিমা কেমন হবে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে সরকার!? প্রতিমার রূপ নিয়ে হস্তক্ষেপ আসলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের ভয়ংকর উদাহরণ।