ঢাকা: ইউনূস আমলে সব ধ্বংস। দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে বিশাল অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। মহাজনের আমলে কেবল বরখাস্ত আর বদলি এই চলছে।
আমার তোমাকে পছন্দ নয়, যাও বেরিয়ে যাও কাজ থেকে। এখানে দেশীয় স্বার্থ কাজ করছে না, ব্যক্তিগত স্বার্থে এখন জর্জরিত দেশ।
ব্যাংকের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং কর্মস্থলের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০০ জন কর্মীকে সরাসরি চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এবং একই সাথে, একটি বিশেষ যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় ৪,৯৭১ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এতজন কর্মীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় স্বামাবিকভাবেই ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা পেলেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দাপ্তরিক কোনো কাজ করতে পারবেন না।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা এই পদক্ষেপকে “বেআইনি” ও “প্রতিহিংসামূলক” বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল নিয়মিত পদোন্নতির পরীক্ষা নেওয়ার, কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আলাদা পরীক্ষার আয়োজন করেছে। তারা খুব শিগগিরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এইদিকে, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি ও ওএসডি করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাংকের ভুক্তভোগী কর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা ।
ব্যাংক কর্মীরা বলেন, ‘এই জুলাই বিপ্লব তো চাকরি দেওয়ার কথা ছিল, চাকরি কেড়ে নেওয়ার কথা ছিল না।’