ঢাকা: রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেশটাকেই ধ্বংস করে ফেলেছেন ইউনূস সাহেব।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চলছে অমানুষিক নির্যাতন। কারাগারে হত্যা করা হচ্ছে, এমনকি সম্প্রতি হাতকড়া পরা অবস্থায় মারা গিয়েছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী। এই দৃশ্য সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের গণ-গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-সহ দেশের সব নিরাপত্তা বাহিনীকে এই কাজে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রতিদিন গ্রেপ্তারি চলছে। জানা গিয়েছে, পুলিশ সদর থেকে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আওয়ামী লিগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলির নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে দেখলেই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

দমন পীড়ন, স্বৈরাচার চলছেই এইভাবে দেশে।

তবে মাটির দলকে দাবিয়ে রাখা যায় না। এদিকে, শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস বলছে আওয়ামী লিগকে কখনও কারাগারে আটকে রাখা যায়নি।

বলেন, কাউকে ছাড়া হবে না। আজ যারা যেভাবে আওয়ামী লিগের নেতাকর্মীদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন করছেন, একদিন তাঁদেরও একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।

সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুশ চৌধুরী রবিবার জেলার সব থানার অফিসারদের ডেকে বৈঠক করে। মৌখিক নির্দেশের পর থানাগুলিতে পাঠানো লিখিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা গেলেই আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আওয়ামী লিগ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিদিন চলছে এইভাবে।

সোমবার আওয়ামী লিগের সাবেক দুজন সংসদ সদস্যসহ ১৩ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ধৃতদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লিগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক তামান্না নুসরাতও।

আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, ৫ আগস্টের পর দেড় লাখের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির ভয়ে পুলিশ গ্রেফতারির সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে।

কাউকে কাউকে গোপন জায়গাতেও আটকে রাখা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *