ঢাকা: মৃত্যুর পর কী লাশ পালিয়ে যেতো? ইউনূস এগুলো কী শুরু করেছেন?

সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সাহেবের জানাজায় ও শেষ বারের মতো তাঁকে বিদায় জানাতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিলো। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি।

ফ্যাসিস্ট ইউনুস সাবেক এই মন্ত্রীকে বিনা চিকিৎসায় এবং কৌশলে হত্যা করে, মৃত্যুর পরেও তাঁর হাতে হাতকড়া লাগানো ছিলো।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন মারা গেছেন। তিনি কারাগারে ছিলেন, এইভাবে হাজার হাজার জনকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।

কারাগারে অবহেলায়, নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে। এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যায় শিশুপালের মতো ছাড়িয়ে গেছে।

সাবেক শিল্পমন্ত্রীর মর্মান্তিক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এই ছবিগুলোতে দেখা যায় হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহে হাতকড়া পরানো আছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান নিজের ইউটিউব চ্যানেল জাহেদস টেইক-এ মতামত দিয়েছেন।

জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘কিছু লোক অভিযোগ করছেন যে নূরুল মজিদ হুমায়ূনকে জীবনের শেষ মুহূর্তে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি; চিকিৎসার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত নন, তবে এই অভিযোগগুলোকেও তদন্তে নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় ন্যায়ের ওপর বিশ্বাসী একটি সমাজ চাই। ইনসাফ নিশ্চিত করার সমাজ।
শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার যে যুক্তি দাঁড় করানো হয়েছিল, তার মূলমন্ত্র ছিল এই যে, সেখানে ইনসাফের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছিল এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

মানবাধিকারের মৌলিক অধিকার প্রত্যেক মানুষেরই প্রাপ্য। নূরুল মজিদ হুমায়ূনের সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনি আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন এবং জেলেও ছিলেন। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় বিচার হয়েছে বা হওয়া উচিত ছিল।

আমরা যদি ন্যায়বিচার চাই, তাহলে প্রত্যেক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে মামলা হবে, অভিযোগের প্রমাণ থাকলে শাস্তি হবে, আর যদি জামিনযোগ্য হয় তবে জামিন দেওয়া হবে, সবকিছুই ইনসাফের ভিত্তিতে ঘটবে।

তবুও সমাজের একাংশ আছে যারা প্রতিহিংসামূলক মনোভাব পোষণ করে; তারা চায় অভিযুক্তদের ওপর হামলা হোক, তাদের প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা ধ্বংস করা হোক। কেন এমন প্রতিশোধভিত্তিক আচরণ? আমরা তা চাই না।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাস্টডিতে থাকা একজন নাগরিক অপরাধী হোক বা না হোক তাকে মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি হাসপাতালের চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয় বা চিকিৎসা গড়িমসি করা হয়, কিংবা কাউকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ে অনিয়ম ঘটে থাকে এসবের তদন্ত হওয়া জরুরি।

যদি তা সঠিক হয়, এটা বীভৎস ও নিন্দনীয়। হাতকড়া পরানো অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা বা মৃতদেহে হাতকড়া পরিহিত এসব দৃশ্য আমরা চাই না; আমরা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক।’

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার হোক। তবে প্রতিশোধ নয়, আইনের পথে ও মানবাধিকার বজায় রেখে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিশোধ বা আইনবহির্ভূত আচরণ চলতে থাকলে আমাদের চাওয়া গণতান্ত্রিক, উদার ও ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশের স্বপ্ন অর্জন হবে না।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *