ঢাকা: বাংলাদেশের সনাতনীরা ভুলে যায়নি তাদের উপর দিনের পর দিন কিভাবে অত্যাচার হয়েছে!
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর শুরু হয়েছিল নৃশংস ও নির্মম নির্যাতন।
বাংলাদেশকে এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল ‘একাত্তরের এদেশীয় ঘাতক-দালাল ও তাদের উত্তরসূরী এবং পৃষ্ঠপোষকদের’ দ্বারা গঠিত সেই সরকার।
২০০১ সালের অক্টোবরের আগে থেকেই দেশি-বিদেশি সংবাদপত্রে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো যখন প্রকাশিত হচ্ছিল নিয়মিত; তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বাংলাদেশের কোথাও এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি, এসব আওয়ামী প্রোপাগান্ডা।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিপীড়িত হবার ঘটনাগুলোকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অপপ্রচার বলেও আখ্যা দিয়েছিল ‘বাংলাস্তানী’ বিএনপি-জামায়াত সরকার।
এইদিকে সবার ভোটের তাগিদ এখন আবার। তাই তারেক রহমানের মুখে ফের সাফাই বার্তা। তবে আজকাল আর মিষ্টি কথায় চিড়া ভিজে না।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার এক বিবৃতিতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
তারেক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল-বিএনপির পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাই। শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”
বলেন, “এবারের শারদীয় দূর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।”
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে তারেক বলেন, “আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন, সৌহার্দ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।
“আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’, ‘ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার’।”