ঢাকা: ভারত তথা আসামের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে সারা আসাম। এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও জুবিন গার্গের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ হয়েছে।

জুবিন গার্গের ভক্তরা এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। আমাদের বাংলাদেশেও এমন বহু মানুষ আছেন যারা শিল্পী জুবিন গার্গের ভক্ত।

অনন্ত জলিল দুঃখপ্রকাশ করেছেন জুবিনের এই ঘটনায়।

বাংলা সিনেমা ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’য় তুমুল জনপ্রিয় গান ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’-এর গায়ক ছিলেন জুবিন গার্গ। আর সেটির ঠোঁট মিলিয়েছিলেন অভিনেতা অনন্ত জলিল।

২০১৩ সালে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা মুক্তি পায়। সিনেমাটি মুনসুন ফিল্মস-এর ব্যানারে প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন নির্মাতা-অভিনেতা অনন্ত জলিল।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবেগঘন মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। এই গানটি যে তাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দিয়েছে, সে কথা অকপটে স্বীকার করেন অনন্ত জলিল।

তিনি বলেন, ‘দেশের ভার্সিটিগুলোতে ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’ গানটি জনপ্রিয় হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গায়, এর সঙ্গে নাচ করে। দেশের সব কলেজের ছেলেমেয়েদের কাছে এই গান মানে এক উন্মাদনার নাম।’

জুবিন গার্গকে হারানোর বেদনা প্রকাশ করতে গিয়ে অনন্ত জলিল বলেন, সবাই জানে অনন্ত জলিলের গান ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’, এই গানের গায়ক জুবিন গার্গ মারা গেছেন, আমি ব্যথিত। আমি ঠিক ভুলতে পারছি না।

এ অভিনেতা বলেন, তিনি যেখানেই গেছেন, যে দেশেই গেছেন; সেখানকার ছেলেমেয়েদের মুখে মুখে ‘ঢাকার পোলা’ গান শুনেছেন। কিংবা তারা এই গানসহ তাকে নাচ করতে বলেছেন। জুবিন গার্গের গাওয়া এই গান আমাকে ফেমাস করেছে বলে জানান অনন্ত জলিল।

জুবিন‌ গার্গের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে North East India Festival (NEIF)-এর মুখ্য আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত ও গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মাকে।

সিঙ্গাপুর থেকে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে নামলে মহন্তকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, গুরুগ্রামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ধরা হয়েছে সিদ্ধার্থ শর্মাকে।

জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা শইকিয়া গার্গ যথাযথ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের গরিমা বলেন, “আমরা জানতে চাই তাঁর কী হয়েছিল ? কেন এটা হল এবং কেন এমন অবহেলা হল ? আমরা জবাব চাই।”

বলেন, “ওঁরা যখন জানতেন যে ও (জুবিন) সাঁতার কাটার অবস্থায় নেই, তখন ওঁরা কেন ওকে জল থেকে তুললেন না ? ওঁদের এটা করা উচিত ছিল।”

গরিমা আরও বলেন, “ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা জানতেন যে, জুবিন পানি বা আগুনের কাছে যাবে না, কারণ এটা তার এপিলেপটিক সিজার বাড়িয়ে তুলবে। আমি ন্যায়বিচার চাই।

আমি আমাদের সব প্রশ্নের যথাযথ তদন্ত ও জবাব চাই। তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। পরিবার আশা করেছিল, যে সমস্ত মানুষ ওকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন তাঁরা ওর যত্ন নেবেন। এখন আমরা বুঝতে পারছি ওঁরা সেটা করেননি।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *