ঢাকা: বাংলাদেশ ধর্ষণের দেশে পরিণত হয়েছে। এখানে আবালবৃদ্ধবনিতা কেউ নিরাপদ নয়। শিশু হোক অথবা বয়স্কা সবাই ধর্ষণের ভয় নিয়ে বাঁচে। দেশটা নীতি নৈতিকতা শিক্ষার দিক দিয়ে একেবারে পচে গেছে।
বাংলাদেশের শিশুদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে, পরিবার, স্কুল, এমনকি অনলাইন—কোথাও তারা আর নিরাপদ নয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই—মাত্র সাত মাসে—ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩০৬ শিশু। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর চলমান যুদ্ধের দ্যোতক। কিন্তু এই যুদ্ধের পেছনে কারা?
কারা এই দেশকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, যেখানে শিশুরা তাদের নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়?
শুধু কি সরকার দায়ী? সরকার তো দায়ী অবশ্যই, তবে নিজের বাবা, ভাইয়ের কাছেও যে আজ মেয়েরা নিরাপদ নয়। এই অবক্ষয় কেন? কিসের কারণে হচ্ছে এগুলো? এগুলো কি মানবাধিকারকর্মীরা বিবেচনা করছেন?
গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা ছিল একটি পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থায়নে, ইসলামিক জেহাদি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায় এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনে দেশব্যাপী দাঙ্গা বাঁধিয়ে নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করা হয়।
ক্ষমতা দখল করা হয় অবৈধভাবে, গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করা হয়। আর এই অবৈধ ক্ষমতা দখলের পেছনে রয়েছেন সুদী মহাজন মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার সহযোগী সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
তাদের হাতে বাংলাদেশ আজ একটি অন্ধকার যুগের মধ্যে ডুবে গেছে, যেখানে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, নারীরা নিরাপত্তাহীন, এবং সাধারণ মানুষের জীবন অরক্ষিত।
লিডো নামের একটি উন্নয়ন সংস্থা সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, শিশু নির্যাতন এখন ভয়াবহ সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
যখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসে থাকেন অবৈধ ক্ষমতাসীনরা, যখন সেনাবাহিনী গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তখন সাধারণ মানুষের জীবন, বিশেষ করে শিশুদের জীবন, কীভাবে নিরাপদ থাকতে পারে?
লিডোর প্রতিষ্ঠাতা ফরহাদ হোসেন বলেছেন, “আজকের অনুষ্ঠানে শিশুরাই মুখ্য। আমরা বড়রা চেষ্টা করব তাদের পথটা সহজ করতে। চাই, আমাদের তোলা তথ্যগুলো যেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। যেন রাষ্ট্র মনে করে, এই শিশুদের জন্য কিছু করা জরুরি। তারা যাতে তাদের মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।”