ঢাকা: বাংলাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা। সুযোগ পেলেই কোপ মারে খদ্দেরের গলায়।

দেশজুড়ে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম আর বাজারে দেশীয় মরিচের সরবরাহ নেই বললেই চলে, বলা হচ্ছে এমনটা। এই অবস্থায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।

আমদানি করা কাঁচামরিচ নিয়েই দেশীয় বাজারে এখন চলছে ব্যাপক কারসাজি। যতরকমভাবে গলা কেটে টাকা নেয়া যায় সেগুলোই করা হচ্ছে।

দুই দিনের টানা বর্ষণের অজুহাতে কাঁচামরিচের দাম হঠাৎ করে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে।

দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ তো মরিচ নয়, সোনা!

ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে একটি চক্র আমদানি করা কাঁচা মরিচে ভোক্তাদের পকেট কেটে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে।

গত ৭ দিন আগেও যে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে, গত তিন দিন থেকে তা হঠাৎ বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার সারাদিন তা সর্বোচ্চ ৪৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

ভাবা যায়? এত টাকা কেজি যদি মরিচ কিনতে হয় তাহলে বাকি জিনিস মানুষ কিনবে কোথা থেকে?

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা কারসাজিতে লিপ্ত হয়ে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটছেন।

শুধু তাই নয়, অসহনীয় হয়েছে মাছ-মাংসের দামও। পণ্য কিনতে এসে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৬০-৭০ টাকা ছিল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *