ঢাকা: ভাষাসংগ্রামী ডাঃ আহমদ রফিক এর প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ভাষাসংগ্রামী, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিককে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। স্মরণে যুদ্ধজয়ী মানুষটি।
এদিন, শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ নেয়ার পর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি মারা যান। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
১৯৫২ সালে ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্থপতি হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও মুক্তচিন্তার ধারাকে এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ইলা মিত্র পাকিস্তানি পুলিশের অবর্ণনীয় অত্যাচারে সয়ে মুমুর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকা মেডিক্যালে। আহমদ রফিক তখন ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ বেষ্টনী ভেদ করে ইলা মিত্রের কাছে বাইরের খবর পৌঁছে দিতেন তিনি। জীবনের তোয়াক্কা করেননি কোনোদিন।
আবার ইলা মিত্রের খবর জানাতেন বাইরে। তাঁর হোস্টেলের রুম ছিল প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের আশ্রয়।
উল্লেখযোগ্য যে, শ্রদ্ধা নিবেদন করা শেষ হলে শোক র্যালির মাধ্যমে এই ভাষাসংগ্রামীর মরদেহ ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে দান করা হবে। সেখানেই তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হবে। তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন।
জীবনে সর্ব সম্মান পাওয়ার কাজগুলো তিনি করেছেন।
