ঢাকা: জান্নাতের টিকিট কাটার মতো কথা বলে জামায়াতে ইসলামী। নাকি ভুল বললাম? সোনার পাথরবাটি যাকে বলে, তেমন কথা এদের!
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ হয়তো জামায়াত-ই-ইসলামীকে মনে করে একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল। তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ অবশ্যই মনে করেন না এটি।
৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতাকারী এ দলটি নিজেদের ইসলামী দল হিসেবে জোর দাবি করে আসছে।
তবে জামায়াত-শিবির কোন ইসলামিক দল নয়। তারা ধর্মকে পুজি করে ব্যবসা আর অপরাজনীতি করে যাচ্ছে। এখনো করছে।
তাদের ইসলামের জন্য কোন কঠোর অবস্থান নয় বরং পাকিস্তান প্রীতি আর ক্ষমতা নিতেই ধর্মকে সামনে নিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে।
যে কাজ তারা আগে পরে করে যাচ্ছে সেটাকে চোখের নিমেষে অস্বীকার করে ধর্মীয় লেবাসধারী কথা বলে ফেলে! এরা খুব জানে, জনগণের ব্রেন ওয়াশ কীভাবে করতে হয়!
আর তাইতো শফিকুর এটি বললেন:
জামায়াত ইসলামী ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভক্ত করতে চায় না বললেন, দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে সারা দেশ থেকে আগত আলেমদের নিয়ে রাজধানীতে ‘দাঈ ও ওয়ায়েজ’ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর বলেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভক্ত করতে চাই না আমরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ। সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও একটি মানবিক সমাজ গঠন করা যায়নি। সবাই নয়, শিক্ষিত সমাজের একটি অংশ দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে।’
আলেমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আল্লাহভীরু মানুষেরা দেশের নেতৃত্বে আসলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, গঠিত হবে মানবিক সমাজ। সেই লক্ষ্যে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোরআন, সুন্নাহর আলোকে আলেম সমাজকে পথ দেখাতে হবে।’
