ঢাকা: ঠাকুরগাঁও, কুষ্টিয়াসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্গা পূজায় মণ্ডপের অসুরের দাড়ি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আপত্তি সত্ত্বেও জোর করে সেভ করে দেয়া হয়েছে।
সারাদেশব্যাপী হয়তো একই কাণ্ড নীরবে ঘটেছে। অর্থাৎ সমাজে একদল লোক হঠাৎ অসুরের নাপিত হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। তারা অসুরের দাড়ি ধরে টানাটানি করেছে! কেন? এই অধিকার তারা কোথায় পেলো?
অথচ সুপ্রাচীনকাল থেকেই দুর্গা প্রতিমার সাথে অসুরের মুখে দাড়ি দেখা যায়। বিভিন্ন মিউজিয়াম এর জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত। বাংলার পাল যুগের অসংখ্য প্রতিমার অসুরের মুখে দাড়ি দেখা যায়।
তাহলে অকারণে হঠাৎ করে অসুরের মুখের দাড়ি নিয়ে কেন বিতর্ক সৃষ্টি করা হলো? আর প্রশাসন এগুলো দমন করবে তো দূরের কথা উল্টো একপাক্ষিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে?
মুসলমান ধর্ম বা ভিন্ন ধর্মের লোকেরা জানেনা যে বা জানলেও ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে। দেবপ্রতিমা মন্দিরের পূজার বেদিতে স্থাপিত হওয়ার পরে সেই প্রতিমার শরীরে বিন্দুমাত্র আঁচড়ও কাটা যায় না, এতে প্রতিমার অঙ্গহানি হয়, অধর্ম হয়।
এইদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আছেন স্বপ্নের জগৎ নিয়ে। তিনি দেশের জঙ্গীদের দেখেন না। কেবল হাওয়ার দোষ দিয়ে বেড়ান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিল।
অথচ সনাতন সম্পর্কে তাঁর বিন্দুমাত্র ধারণা থাকলে এই উস্কানি কথা বলতে পারতেন না।
পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে একথা জানান তিনি। হয়তো এক্ষেত্রে হিন্দু শিল্পীদের কারাগারে ঢোকানো হবে! কী অদ্ভুত এই দেশের আচার!
তিনি বলেছেন, এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
