ঢাকা: ভারতের উত্তরবঙ্গে তোর্সা, তিস্তা, মহানন্দা তিন নদীর পানিই পাহাড়ী প্রবল ঢলে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

আমাদের দেশের কি এবছর পর্যাপ্ত বন্যা প্রস্তুতি আছে?

নাকি এবারো আমরা বলবো ভারত আগে থেকে সতর্ক না করে বাঁধ খুলে দিয়েছে? সবকিছুতেই তো আমরা ভারতের জুজু দেখি, অথচ নিজের কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা!

ভারতের সিকিম ও অন্যান্য রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের জন্য তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই হবে।

জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের কোনো সুব্যবস্থা নেই। নদী তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সতর্কতা জারি করে স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে। ঐ এতটুকুই সার! মানুষ মরলো কী বাঁচলো সেগুলো দেখার দায়িত্ব সরকারের নেই! তিনি বেঁচে থাকলেই হলো। অথচ এক একটি বন্য মানুষের স্বপ্ন ভাসিয়ে নিয়ে যায়!

রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ায় পানি ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর।

পানির চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যারেজ এলাকার ৪৪টি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু পানির অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ব্যারেজের পাশে ফ্লাটবাইপাস সড়ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় তীরবর্তী এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন।

তিস্তার পানি হু হু করে বেড়ে চলেছে। এতে করে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *