ঢাকা: অর্থ উপদেষ্টা থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টা এঁরা চোখে অন্ধ, কানে কালা হয়েছেন! অবশ্য সত্যিকারের নয়, তাঁরা এইসব হয়ে থাকার ভান করছেন আর জনগণের সাথে ভাঁড়ামি করছেন।

অর্থনৈতিক ধস নেমেছে বাংলাদেশে, এই অবস্থায় অর্থ উপদেষ্টা বলছেন, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি। সে জন্য তো আমরা মোটামুটি একটু কনফিডেন্ট।

এদের কথাবার্তা শুনলে,ব্যাখ্যা শুনলে মন হয় দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশে একতিলও কোনো সমস্যা নেই।

বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক অস্থিরতার ভেতর দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এই সময় অর্থনৈতিক চিত্র বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের বহিঃঋণ জুন ২০২৫ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১২ বিলিয়ন ডলার। মাত্র তিন মাসে ঋণ বেড়েছে সাড়ে সাত বিলিয়নেরও বেশি। একই সময়ে নতুন ঋণ চুক্তি হয়েছে ৮.৩ বিলিয়ন ডলারের, আর ডিবার্সমেন্ট বা ঋণ বিতরণ ৮.৫ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ সংকট এখনও কাটেনি। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন থামানো যায়নি, যার প্রভাব পড়ছে পণ্য আমদানি, জ্বালানি খাত এবং ভোক্তা পর্যায়ের মূল্যস্ফীতিতে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়লেও আমদানি-নির্ভর জ্বালানির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সামান্য ওঠানামা হলেই লোডশেডিং ও শিল্প উৎপাদনে ধস দেখা দিচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মারাত্মক সংকটে। অর্থনীতিকে কীভাবে টিকিয়ে রাখবেন ইউনূস, সেটাই বিচার্য।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা একদম চিন্তা বিহীন কথাগুলো বলে দেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *