নেত্রকোনা: এই হচ্ছে ইউনূসের ভাষায় ‘হিন্দুরা ভালো আছে’! সরাসরি গিয়ে হিন্দু জবাই করে ফেলে আসছে উগ্রবাদী মুসলমানরা! এই ঘটনা এখন কমন বাংলাদেশে। নাহ! কোনো প্রতিক্রিয়া নেই জঙ্গী ইউনূসের।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বসুন্ধরা মোড়ে নিজ দোকানে নারায়ণ চন্দ্র পাল (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর ২০২৫) রাত প্রায় ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বসুন্ধরা মোড়ে এই হত্যা কাণ্ড ঘটে। নিহত নারায়ণ চন্দ্র পাল বসুন্ধরা মোড়ে মুদি দোকান পরিচালনা করতেন।

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজার রাতে দীর্ঘ সময় ওই দোকানে কেউ ঢুকছে না, বা বের হচ্ছে না দেখে লোকজন খোঁজ নিলে দোকানের ভেতরে নারায়ণকে জবাই করা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিথর দেহ উদ্ধার করে। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় পর্যায় শোক ও আতংক নেমে আসে।

নিহতের স্ত্রী লিপি রানী পাল জানান, রাত ১১ টার পরে খবর পেয়ে নিহতের দুই ছেলে অভিজিৎ পাল ও অভিষেক পালকে নিয়ে দোকানে গিয়ে দেখেন নারায়ণকে কে বা কারা দোকানের ভেতরে গলা কেটে হত্যা করেছে।

লিপি আরো বলেন, নারায়ণের কোন শত্রু ছিলনা। লিপি তার স্বামী হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।

প্রতিবেশি বিমল পাল, ও রিকশা চালক জুয়েল জানান, রাত ১১ টায় বিড়ি কিনতে দোকানে গিয়ে ডাক দেন, পরে সারা না পেলে ৪ / ৫ জন লোক দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখেন নারায়ণের গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ পরে আছে।

পরে চিৎকার দিলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এসে পুলিশে খবর দেন।

প্রশ্ন তুলেছেন তসলিমা নাসরিন, “নারায়ণ চন্দ্রের কোনও শত্রু ছিল না। তবে কারা হত্যা করলো তাকে? এমন কি হতে পারে যে হত্যাকারীরা হিন্দুবিদ্বেষের কারণে তাঁকে হত্যা করেছে? হত্যাকারীরা কী চাইছে?

হয়তো চাইছে নারায়ণের পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যাক, তাহলে তারা নারায়ণের ভিটেমাটি দখল করতে পারবে। হয়তো ভাবছে এলাকার সব হিন্দু ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাবে, বা দেশ ছেড়েই চলে যাবে। তখন আমোদে আহ্লাদে হিন্দুশূন্য এলাকায় বাস করবে খুনী বদমাশ মুসলমান।

খুনীদের কি গ্রেফতার করা হবে? তাদের কি শাস্তি হবে? গলায় ফাঁসির দড়ি কি পরানো হবে? নাকি ইউনুসের দুনিয়ায় খুনী-জিহাদিদের গলায় ফুলের মালা ছাড়া আর কিছু পরানো হয় না”!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *