ঢাকা: বাংলাদেশ পাসপোর্টধারীদের এখন যেমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, কোথাও আর যেতে হবে না। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে দেশগুলো।
এই হচ্ছে ইউনূস ম্যাজিক। বিগত এক বছরে যেমন কমেছে পর্যটন তেমন ভাবে আবার বাংলাদেশের নাগরিকরাও বাইরে যেতে পারছেন না।
বিশ্বের নানা দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের ভ্রমণ বা অভিবাসনে বিভিন্ন রকমের জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা দেখা দিচ্ছে।
কিছু দেশে ভিসা পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টকেই সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে।
আবার কিছু দেশে প্রবেশের পরেই শুরু হয় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও হেনস্থা। বাংলাদেশি জনগণকে প্রচুর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এসব দেশের তালিকায় রয়েছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এমনকি ইউরোপেরও কিছু অংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—অবৈধ অভিবাসন, জালিয়াতি, নিরাপত্তা উদ্বেগ, কূটনৈতিক টানাপোড়েন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ইত্যাদি নানান কারণে এখন বাংলাদেশিদের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
একসময় একটা ধারণা ছিলো যে, যত বেশি দেশ ভ্রমণ করা যাবে এবং পাসপোর্টে যত বেশি দেশের ভিসা থাকবে, পাসপোর্ট তত বেশি ‘ভারী’ হবে। উন্নত দেশগুলো সহজে ভিসা দেবে। তবে, এইসব এখন আর হচ্ছে না। অন্তত বাংলাদেশিদের জন্য তো নয়ই।
বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়েছে, সবুজ মলাটের বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে অধিকাংশ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেরই ‘অ্যালার্জি’।
ভিসা দেওয়া তো দূরের কথা, যেসব দেশে ভিসা ‘অন-অ্যারাইভাল’ নিয়ম চালু আছে, সেসব দেশও বাংলাদেশিদের প্রবেশ করতে না দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। আর এসব সমস্যা কিন্তু বিগত প্রায় এক বছর আগেও সেরকম ছিলো না।
গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যেও বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশিরা। কিন্তু ইন্টেরিমের কোনো খবর নেই। তাঁর সরকার দেদারসে বিদেশ সফর করে বেড়াচ্ছে। জনগণ সেখানে ভোগান্তিতে থাকলে কার কী!?
কোনো কোনো দেশের দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে ভিসা পেলেও অনেক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীকে ইমিগ্রেশনে নানা কারণে ‘অফলোড’ করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এমনও দেখা যাচ্ছে, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো পর্যটননির্ভর দেশগুলোও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
অথচ এসব দেশে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে বিমানবন্দর থেকে মুহূর্তের মধ্যে ভিসা দেওয়ার কথা।
একসময় বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এখন সহজে ভিসা দিচ্ছে না। ভিসার জন্য অনেক নথিপত্র ও ফি প্রয়োজন হচ্ছে, তবুও ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ভারত নতুন করে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। বর্তমানে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই করে শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসা দেওয়া হলেও সামান্য ত্রুটি পেলেই অফলোড করা হচ্ছে।
