ঢাকা: সড়ক উপদেষ্টা নিজেই মহাসড়কে যানজটে পড়ে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়েছেন। তবে চালকের মাথায় কিন্তু কোনো হেলমেট নেই, আরোহীর মাথায় হেলমেট।
ইউনুসের অবৈধ শাসনামলে আইনের শাসন, সংস্কারের নমুনা এগুলো। এ যেন রাষ্ট্র নিয়ে চলিতেছে সার্কাস আর যেমন খুশি তেমন সাজার প্রতিযোগিতা।
যে যখন পারছে সার্কাসের জোকার সাজছেন। তিনি মনে করছেন তাঁকে নিয়ে সবাই হাসুক, তিনিও একটু লুটুপুটু হলেন! তামাশায় সব বাস্তবতা কেটে যাক আরকি!
এতো আয়োজনের পরেও ঢাকা–সিলেট সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে যানজটে আটকা পড়লেন সড়ক উপদেষ্টা।
অবশ্য সড়ক উপদেষ্টা পিছনে থাকলে ড্রাইভারের মাথায় হেলমেট লাগেনা। এই হচ্ছেন আমাদের সড়ক উপদেষ্টা!
দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেহালদশা ও যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়ার পথে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। পরে বাধ্য হয়ে তিনি মোটরসাইকেলে চড়েন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টায় তিনি আশুগঞ্জ থেকে রওয়ানা দেন। বেলা ১টায় সময় তিনি বিশ্বরোড মোড়ে আসেন।
আট-১০টি মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে তিনি বিশ্বরোড নামেন। তবে তাঁর গাড়ি বহর তখনো ছিলো আশুগঞ্জ এলাকাতেই। তিনি বাহাদুরপুর থেকে মোটরসাইকেলে উঠে পড়েন। তবে তাঁর চালকের মাথায় ছিলো না কোনো হেলমেট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। যেকোনো যানবাহনে এলে এ পথ পাড়ি দিতে বেশি হলে ৩০ মিনিট লাগার কথা।
তবে এই আধঘন্টার জায়গায় সড়কটির অবস্থা খারাপের জন্য পথটি পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগে। সবদিকে ভোগান্তিতে জনগণ।
আর বড় বড় উপদেশ দিয়ে নিজেই আটকা পড়ে গেলেন উপদেষ্টা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে এসে মারাত্মক যানজটে আটকা পড়ে যান খোদ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তবুও জনগণের কষ্টটা বুঝবেন কিনা সন্দেহ আছে।
