ঢাকা: কথিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার অযুহাতে দুই এনসিপি নেতাকে নীতি-বহির্ভূত ভাবে ২টি টেলিভিশন লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে ইউনুস সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।
নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুর রহমান।
এই সরকার নীতি, ন্যায় অন্যায়ের ধার ধারে না।
আর মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম তো সবার উপরে। জোর খাটিয়ে এই উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টারা দেশটাকে ছারখার করেছে।
দুটি নতুন স্যাটেলাইট টেলিভিশনের লাইসেন্স নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে!
এবার শাহেনশাহ যেন মুখ খুললেন। জবাব দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বুধবার সচিবালয়ে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরি এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সুযোগ সৃষ্টি করতেই লাইভ এবং নেক্সট টিভি নামে দুটো টেলিভিশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে, এই সরকারের মেয়াদে আরও টেলিভিশন লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় দেওয়া টেলিভিশনের লাইসেন্স সরকার বন্ধ করেনি, করবেও না। তাই গণঅভ্যুত্থানের অবদানকারীদের জন্য এটা সরকারের নতুন সুযোগ। সব ধরনের নীতিমালা মেনেই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।’
মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘এই সরকারের মেয়াদেই সাংবাদিক সুরক্ষা আইন পাস হবে। যাতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে আর কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন হলে বেতন-ভাতা নিয়েও সাংবাদিকদের সমস্যা মিটে যাবে।’
অথচ সাংবাদিকদের বিগত এক বছর ধরে হেনস্থা, হত্যা করা চলছেই। এ নিয়ে কোনো কথা নেই এই অপদেষ্টার মুখে।
