ঢাকা: নির্মমভাবে গ্রেপ্তার করে চলেছে ইউনুসীয় সরকার। ভুয়া মামলায় একের পর এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এটা কোনো আইন নয়, এটা জুলুম!
ক্ষমতার দাপটে আজ ন্যায়বিচারও বন্দি! শুধু গ্রেপ্তারি নয়, কারাগারে খাওয়া দাওয়াও দেয়া হয় না, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনকি হাতকড়া অবস্থায় মারা যাচ্ছেন! এ যে কতবড় অমানবিকতা।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সম্প্রতি সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সমালোচকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সংস্থাটি বলছে, এই আইনের অপব্যবহার মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করতে হবে।
সরকারের ভৎর্সনা করে এইচআরডব্লিউ।
আজ ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধী মত দমন ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনা বেড়েছে।
সংস্থাটির মতে, সরকারের উচিত এই আইনের আওতায় আটক সকল রাজনৈতিক কর্মীকে মুক্তি দেওয়া এবং কেবল প্রকৃত সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা।
এইচআরডব্লিউ-এর প্রতিবেদনে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ আগস্ট ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজিত এক আলোচনাসভা থেকে সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাবেক রাজনীতিকসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভায় উগ্রপন্থি একদল লোক হামলা চালালেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং শান্তিপূর্ণ সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরিয়ে আদালতে হাজির করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা হয়।
