ঢাকা: কারাবন্দী সবাইকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দিলেই হয়! এই ঘোষণা করা কেবল বাকি আছে এই সরকারের।
৫ আগস্ট যেমন হয়েছে। কারাগারে আগুন লাগিয়ে ইচ্ছে করে সন্ত্রাসী, জঙ্গী, আসামিদের কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইউনূসের আমলে তো জঙ্গী চাষ হচ্ছে দেশে, এখন ফের অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে দেয়া হবে! অপরাধে ভরে গেছে সারা দেশটা। সজ্জন যে কে তা বোঝা বড় দায়!
এইগুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
অনেকেই বলছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংস্কার দরকার আছে, বাতিল করা যৌক্তিক নয়। আইনটি পুরোপুরি বাতিল করলে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের অপরাধ বাড়তেই থাকবে, এখানে অপরাধ বৈধতা পাবে।
তবে এই আইনটিতে অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি ছিলো, বাড়াবাড়ি কমিয়ে শাস্তির পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে এবং গঠনমূলক, তথ্যবহুল সমালোচনাকে বৈধ রেখে অপরাধের সংজ্ঞাকে হালনাগাদ করা যেতে পারে। বলছেন অনেক জনগণ।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনী অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দেওয়া সাজা ও বিচারাধীন সব মামলার দায়মুক্তি দিতে এই সংশোধন আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আগের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে অনেকের ওপর অন্যায়ভাবে মামলা ও শাস্তি হয়েছে। নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সেই মামলাগুলো বাতিল করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক নিপীড়নের এক অধ্যায়ের অবসান ঘটবে।’
সংশোধনী অনুযায়ী, আগের আইনে দায়ের করা সব মামলা ও রায় বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
যেসব ব্যক্তি আগেই সাজা ভোগ করেছেন, তাঁরাও দায়মুক্তি পাবেন। তবে ক্ষতিপূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।
