ঢাকা: এই দেশে আর কোনো আনন্দই থাকবে না। আফগানিস্তান থেকে ফর্মূলা শিখে এলে তো বাংলায় আর কোনো নাচ, গান, আবৃত্তি, উৎসব হবার কথা নয়।

দেশ এখন তালিবানের পথে। তালিবানি শাসন চলছে দেশে। নারীরা কোন পোশাক পরবে সেটাও নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে! বাংলার সংস্কৃতি বলতে এখন কিছু নেই, তালিবানি সংস্কৃতি আরম্ভ হয়েছে।

রাস্তায় এক নারী বুকে ওড়না না দেয়ায় তাঁকে মব করে হেনস্তা করা হচ্ছে, জেমসের গানের কনসার্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, মৌলবাদী গোষ্ঠী যা শুরু করেছে তাতে দেশ ধ্বংসের মুখে।

এবার স্থগিত করে দেয়া হয়েছে শরৎ উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় এবার আর বাজবে না শরতের গান, উঠবে না রঙিন আলপনার ছোঁয়া। কারণ তালিবানি বাংলাদেশিরা এইগুলো পছন্দ করে না।

সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর বহু প্রতীক্ষিত বার্ষিক অনুষ্ঠান ‘শরৎ উৎসব’ আয়োজনের অনুমতি শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিয়েছে চারুকলা কর্তৃপক্ষ।

হঠাৎ এইধরনের সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েছেন আয়োজকরা। শ্মশান হয়ে আছে সব, শুনশান নীরবতা।

সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, আমরা নিয়ম মেনে বকুলতলার জায়গা ভাড়া নিয়েছিলাম এবং ২৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।

কিন্তু গত বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে চারুকলা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ জানায়, গোলযোগের আশঙ্কায় অনুষ্ঠান করা যাবে না। পরদিন আমাদের সরঞ্জামও চারুকলায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

কিসের গোলযোগ? মৌলবাদীর গোলযোগ? মৌলবাদীর ভয়?

চারুকলার ডিন প্রফেসর আজহারুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠানটি নিয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পক্ষ থেকেও আপত্তি আসে। তাই আমরা অনুষ্ঠানটি না করার অনুরোধ জানিয়েছি।

এদিকে, চারুকলায় অনুমতি বাতিলের পর বিকল্প ভেন্যু হিসেবে গেন্ডারিয়ার কচিকাঁচার মেলা মাঠে আয়োজনের প্রস্তুতি নেয় সংগঠনটি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না অনুষ্ঠান।

সেখানেও স্থানীয় আপত্তির মুখে অনুষ্ঠানটি শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *