ঢাকা: ফ্যাসিস্ট, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাষ্ট্রব্যবস্থায় আরো অনেক কিছুই দেখা বাকি আছে। এই উপদেষ্টামণ্ডলী বসেছেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নাশ করার জন্য। অথচ এইগুলো এত সহজ না।
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাম্প্রতিক নানা ঘটনাপ্রবাহ এবং রাজনৈতিক বিষয় উঠে এলেও প্রশ্নপত্রে অনুপস্থিত ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল ভিত্তি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার ১০০টি আবশ্যিক প্রশ্নের মধ্যে ‘আয়নাঘর’, ‘জুলাই বিপ্লব’ ও সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থান, এমনকি শিবির আবু সাঈদকে নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কোনো প্রশ্ন নেই।
এই গোটা বিষয়টি পরীক্ষার্থী এবং সচেতন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আবশ্যিক অংশে একটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, ‘আয়নাঘর কী?’ এর সম্ভাব্য উত্তর হিসেবে ‘স্বচ্ছ কামরা’, ‘পরিবেশবান্ধব কৃষিকাজ’, ‘গোপন কারাগার’ ও ‘একটি হলিউড মুভি’—এই চারটি অপশন দেওয়া ছিল।
এছাড়াও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানও স্থান পেয়েছে প্রশ্নপত্রে। একটি প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?’ অপশন ছিলো।
‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব কী?’—এমন প্রশ্নও ছিল।
‘পাকিস্তানের ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন?’—এই প্রশ্নটি পর্যন্ত করা হয়। অথচ যা আসার কথা, মুক্তিযুদ্ধ– সেটাই উপেক্ষিত। এই বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ করা গেছে।
