ঢাকা: দেশের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। এদিকে জনগণ পরিষ্কার বলছে, আওয়ামী ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না।

শেখ হাসিনা একমাত্র ভরসা জনগণের।

দেশবিরোধী জঙ্গীরা ক্ষমতায় বসে আছে। আর চারদিকে উপদেশ ছড়াচ্ছে।

এরমধ্যে ২৪ জন বাংলাদেশি আর্মী অফিসারকে দেশের মাটিতেই মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসারদের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ। এই সিরিয়াল হয়তো আরো বাড়বে। তাই আগেই বললাম দেশের অবস্থা মোটেও ভালো নয়।

এইদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাঁর মতো করে কথা বলেই যাচ্ছেন। এই মিথ্যাবাদী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঠাট্টা করতে খুব ভালো জানেন।

এখন বলছেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো দায়িত্বে রাখা হবে না।

দেখানো হচ্ছে, ইলেকশন একদম নিট অ্যাণ্ড ক্লিন হবে। অথচ রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করে বসে আছে লোভী, দখলকারীরা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যথাসম্ভব তাদের দায়িত্ব দেওয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে।’

রবিবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলায় যেসব সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের বিচার সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় হবে।

আর ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দেশে থাকি, আমার সন্তানরা দেশে থাকে, আমার সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই।’

নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠপর্যায়ের সব প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তাকে—জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অফিসার ইনচার্জদের (ওসি)—প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনবহির্ভূত কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হচ্ছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *