ঢাকা: যারা ইতিহাস ভেঙে ফেলে, তারা ভবিষ্যৎ গড়তে পারে না। এই আসিফ মাহমুদ, আর ইউনূস নামক জঙ্গীরা কোনোদিন দেশের ভবিষ্যৎ গড়বে না।
৫ আগস্টের পর একের পর এক ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলা হয়েছে।
জঙ্গীরা দেশটাকে ছিঁড়ে খেয়েছে।
ভাঙচুর করা ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বেশির ভাগই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক।
এমনকি ধ্বংস করা হয়েছে ময়মনসিংহের শশীলজের ভেনাসের মূর্তি, সুপ্রিম কোর্টের থেমিস ও শিশু একাডেমির দুরন্ত ভাস্কর্যটিও।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, লালবদররা তাণ্ডব চালাচ্ছে দেশটায়। ইউনূসের প্রশ্রয়ে এখন এই এনসিপি, জামাত জনগণের জীবন লুটেপুটে খাচ্ছে।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা হলো–ভাঙ্চুরের সময় ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে দুটি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।
কোথাও হাতুড়ি-শাবল দিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে, কোথাও উপড়ে ফেলা হয়েছে, কোনো কোনো ভাস্কর্য পোড়ানো হয়েছে আগুনে।
মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর ওপর মূলত এই জঙ্গী গোষ্ঠীর ক্ষোভ। ষষ
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ছিলো হারাম, আর জুলাই স্তম্ভ হালাল?
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদগণের স্মরণে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে “জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ” এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহিদদের স্মরণে ও জুলাইয়ের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৪৬.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ বাস্তবায়ন করছে।
জুলাই স্মৃতিস্তম্ভটি একটি বৃত্তাকার বেদির উপর নির্মিত হবে৷ স্তম্ভটির দুই পাশে চারটি করে আটটি আয়তাকার পারসিভড কলাম এবং মাঝখানে একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলাম থাকবে।
স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলামটির উচ্চতা হবে ৯০ ফুট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “”জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা ও নির্মাণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের স্মৃতি ও জুলাই ইতিহাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।”
