ঢাকা: জামায়াত শিবির আবার জেলে থাকবে? ইউনূসের মায়া হয় তো! আর জামায়াত শিবির তো দোষী হতেই পারে না মহাজনের চোখে। আর মহাজনের চোখ মানে আদালতের চোখ। আইন, আদালত, প্রশাসন এখন মহাজনের অঙ্গুলি হেলনে চলে।
কোনো জামায়াত রগ কাটা শিবির, জঙ্গী, আসামি জেলে থাকবে না। থাকবে কেবল আওয়ামী লীগ, হিন্দু, এবং সাধারণ নিরপরাধ মানুষগুলো।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী রাতে ছাত্র শিবির ক্যাডাররা সশস্ত্র হামলা চালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, পরের দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের পেছনে ম্যানহোল থেকে গণিত বিভাগ ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ফারুক হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আজ এই ফারুক হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়েছে, আসামীদের বেকসুর খালাস! এই তো দেশ! সোনার বাংলাদেশ!
দেশ কাদের হাতে বুঝে নিন!
ধিক্কার জানাতে হয় আজকের অবস্থাকে। ফারুক হোসেন হত্যা মামলার রায়ে সব আসামি বেকসুর খালাস পেয়ে এখন মহানন্দে আছে।
রবিবার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরের তৎকালীন আমির আতাউর রহমানসহ ১১৪ জন আসামি ছিলেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে নাকি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি! কী অদ্ভুত জমানা পড়লো! এটাও দেশবাসীকে গিলতে হবে!
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম বলেছেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
মামলার ১১৪ জন আসামির মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। ১০৫ জন জীবিত আছেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
