ঢাকা: শিক্ষক সমাজ আজ পথে! ন্যায্য অধিকারের দাবিতে ক্লাস ও কর্মবিরতি চলছে! সারারাত তাঁরা কষ্ট করেছেন। কী অবস্থা হয়েছে দেশটার?
ইউনূসের পুলিশ বাহিনী টেনে হিঁচড়ে শিক্ষকদের হেনস্থা করে। দাড়ি টানাটানি করে। অথচ এই কাজটাই যদি শেখ হাসিনার সময় হতো, এতক্ষণে বোমা ফাটতো দেশে।
বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশছোঁয়া, অথচ যারা জাতি গড়ার কারিগর, সেই শিক্ষকদের জীবন চলছে চরম আর্থিক সংকটে। তাঁদের ন্যায্য দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।
বলা হচ্ছে, শিক্ষকদের এই আন্দোলন শুধু ভাতার জন্য নয়, এটি শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
শিক্ষকরা বলছেন, ‘আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি, কারণ দাবি আদায়ের আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন এবং শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন’।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবং পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমপিওভুক্ত স্কুল–কলেজে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা শহীদ মিনারেই অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছি। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকেই আন্দোলন চলবে।
আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
