ঢাকা: সমাজে, দেশে নারী নির্যাতন বন্ধ নেই। মেয়েরা বিয়ে হয়ে পরের বাড়ি যায়, আর স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়। এই দৃশ্য আজকের যুগে খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে নারী নির্যাতন। সমাজ হয়ে উঠেছে দানবিক।
নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে, প্রথমে মুখ খুলতে হবে! প্রতিদিন অসংখ্য নারী নির্যাতনের শিকার হয়, কিন্তু ভয়, লজ্জা, সমাজের চাপের কারণে অনেকেই চুপ করে থাকে!
অপরাধীরা তখন আরও সাহসী হয়ে ওঠে! তবে এত প্রতিবাদ, গর্জন তারপরেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অত্যাচার থেমে নেই। ভয়াবহ হয়ে উঠছে দিনে দিনে আরো।
বাংলাদেশে অবিশ্বাস্য হারে নারী নির্যাতন বাড়ছে। এবং নারী তার নিজের ঘরেই সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত।
দেশে প্রতি চারজন নারীর তিনজন (৭৬ শতাংশ) জীবনে অন্তত একবার জীবনসঙ্গী বা স্বামী কর্তৃক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
আজ, সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’ এর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল কর্তৃক (ইউএনএফপিএ) জরিপে বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশনা তুলে ধরে— যেখানে সহিংসতা প্রতিরোধে জরুরি বিনিয়োগ, পরিষেবা শক্তিশালীকরণ ও বিচার প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি জেন্ডার সমতা এবং মানবাধিকারের ভিত্তিতে একটি সহায়ক আইনি ও নীতিগত পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দেশের ৭৬ শতাংশ নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার স্বামী কর্তৃক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
আর সবচেয়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে তিনজনের মধ্যে দুজন ভুক্তভোগী (৬২ শতাংশ) তারা যে সহিংসতার মুখোমুখি হন, তা কখনো প্রকাশ করেননি। মুখ খোলেন না তাঁরা।
এমনকি শিশু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেও মায়েদের ওপর অত্যাচার হয়। এটা কী সমাজ?
গর্ভাবস্থায়, বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৭.২ শতাংশ শারীরিক সহিংসতার এবং ৫.৩ শতাংশ যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন, যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
বর্তমানে সমাজে মেয়েরা বিয়ে করতেই ভয় পাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, বিয়ে করে নিজের জীবন এইভাবে বিসর্জন দেয়ার কোনো মানে হয় না।
মেয়েরা স্বনির্ভর হয়ে এখন পথচলা শুরু করেছেন। তাঁরা কারো তোয়াক্কা করেন না এখন।
