ঢাকা: ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ইতালির রোম সফর ঘিরে তীব্র সমালোচনা চলছে।
সেখানেও প্রতিবাদ চলেছে আওয়ামী লীগের।
অনুষ্ঠানটি ১০ থেকে ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে ইউনূস সেখানে চরম অপমানিত হয়েছেন। তবে অপমান তিনি গায়ে মাখেন না। কোনো দেশে গিয়েই তিনি সম্মান পাচ্ছেন না। নোবেলজয়ী তাঁর অবস্থান হারিয়েছেন।
এদিকে, গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আবার অক্টোবর মাসে রোম সফরে গিয়েছেন।
মাত্র ১৪ মাসে কমপক্ষে ১৪ বার প্রধান উপদেষ্টার সদলবলে বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শুধু তাই নয়, দেশের নামও ডুবিয়েছেন দেশে বিদেশে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতালি ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কোনো সফর নয় এটি। ইতালির সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানের সাথেও বাংলাদেশের সরকার প্রধানের কোনো বৈঠকের তথ্য নেই।
ফলে সরকারি অর্থ ব্যয় করে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যে কোনো দেশে গেলে সেই দেশের শিষ্টাচার জানতে হয়। ইউনূস তার ধারেকাছে নেই।
কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির রোম শহরের মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
একটি স্বাধীন দেশের সরকার প্রধানের এমন পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রোমের মেয়র রবার্তো গোয়ালতিয়েরির দপ্তরে বসে বৈঠক করতে দেখা যায় ইউনূসকে কয়েকটি ছবিতে। ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রশ্ন উঠেছে, একজন সরকার প্রধানের মর্যাদা কি একজন নগরপিতার (মেয়র) চেয়ে কম? কেন রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ভেঙে ড. ইউনূসকে মেয়রের কার্যালয়ে যেতে হলো?
