ঢাকা: শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতিবাদ চলছে বাংলাদেশে।
বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারীদের শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ পদযাত্রা আটকে দিয়েছে পুলিশ।
তবে তাঁরাও বলছেন, এই প্রতিবাদ থামবে না। এর আগে শিক্ষকদের ওপর মারপিট হয়েছে। শিক্ষকদের গা বেয়ে রক্ত ঝরেছে! এই যদি হয় দেশের অবস্থা!
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সাড়ে ৪টার দিকে পদযাত্রাটি হাইকোর্টের সামনে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয় পদযাত্রা। হাইকোর্টের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীরা ও পুলিশ সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন।
এর আগেই মার্চ টু সচিবালয় করার কথা ছিলো তাঁদের। তবে একটু রুখে যান তাঁরা।
সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিলো। যদিও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ে অভিমুখে পদযাত্রা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাঁরা শিক্ষা উপদেষ্টার ‘আলোচনার প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের দাবি মেনে নিক। তারা প্রজ্ঞাপন যখন খুশি দিতে পারে। তবে তাঁরা মিডিয়ার সামনে ব্রিফ করে ঘোষণা দিক যে আমাদের তিনটি দাবি মেনে নিয়েছেন, তাহলে আমরা সচিবালয়ের দিকে যাব না।’
বিকেলের মধ্যে সরকার দাবি মেনে না নিলে আজই ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন জোটের সদস্যসচিব।
জানান, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি নিয়ে ‘দর-কষাকষির’ সুযোগ নেই।
