মিরসরাই: সারা দেশ চোরের দেশে পরিণত হয়েছে। চোর, ডাকাত, মব বাহিনী, খুনী, জঙ্গীর সন্ত্রাসে দেশ শেষ! অথচ সরকার, প্রশাসন দেখেও দেখে না। জনগণ শ্বাস নেবে কী ভাবে?
মিরসরাইয়ে উপজেলা জুড়ে এক রাতে গরু চুরি, বাইক চুরি, দোকান চুরির ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকই শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার পায়৷ আর এদিকে দিন দিন অবনতির দিকে পরিস্থিতি৷ রাত হলেই বাড়ছে আতঙ্ক! কেউ শান্তিতে ঘুমোতে পারে না।
মিরসরাইয়ে সোমবার রাতে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বড় কমলদহ ডাকঘর বুড়া হুজুরের মাজারের পাশে এনএস কম্পিউটার এন্ড ট্র্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
দেশজুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছেই।
চোরের দল প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫টি ল্যাপটপ, প্রায় ৬০ হাজার নগদ টাকা, ওয়াইফাই সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দুয়ারু মিঝি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাও ঘটে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে নুরুল আলমের ২টি, জসিম উদ্দিনের ১টি এবং রেজাউল করিমের ২টিসহ ৫টি গরু একই বাড়ির আলাদা আলাদা গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়েছে।
অন্যদিকে, বারইয়ারহাট মধ্যম জামালপুর জালাল আহম্মদের বাড়ি থেকে একটি টিউবওয়েল পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে।
কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে, কিন্তু চুরি হওয়া জিনিস উদ্ধার বা কোনো চোরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এসব চুরি ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ একদম নীরব।
