ঢাকা: এই ব্যর্থতা কার? অবশ্যই ১০০% এক লজ্জাজনক ব্যর্থতা এটি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশের পুলিশ প্রত্যাহার করা হলো।
বাংলাদেশ দখলদার সরকার কর্তৃক নিজ দেশের নাগরিকদের দমন পীড়ন ও নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যাদের পুরো কনটিনজেন্ট জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে পুলিশের একমাত্র অবশিষ্ট কনটিনজেন্টকে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা উদ্বেগজনক। কিন্তু ইউনূস আছেন মহানন্দে।
এই সিদ্ধান্তে বৈশ্বিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের পুলিশের দীর্ঘদিনের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, মানবিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে।
এখন যে পুলিশ নিজের দেশের শান্তিরক্ষায় ব্যর্থ, তাঁরা আর আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় কীভাবে সক্রিয় হবেন?
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের জন্য ‘গুরুতর আঘাত’।
আসলে এটি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্ট ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা’।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের পুলিশ বরাবরই গর্বের নাম। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের পতাকা মানে ছিল পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা আর মানবতার প্রতীক। সেই গর্ব ধুয়েমুছে গেছে।
যে বাংলাদেশ এক সময় শান্তিরক্ষায় শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিল, আজ সেই দেশকেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে — এটি জাতির জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
মধ্য আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ দীর্ণ ‘কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ (‘ডিআর কঙ্গো’ নামে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিত) শান্তিরক্ষা মিশনে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র অবশিষ্ট দলটিকে মঙ্গলবার সেখান থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফেরতের নির্দেশ পাওয়া ১৮০ সদস্যের কনটিনজেন্টের মধ্যে ৭০ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা দেশে ফিরে আসবেন। মাত্র দুই মাস আগেই তাঁরা সেখানে যোগ দিয়েছিলেন।
