ঢাকা: সরকার তো শুধু ব্যর্থ নয়, ব্যর্থ অভিভাবকরাও। কারণ অভিভাবকরা আজকাল কথা বেশি বলেন, কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা।
বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা হয় না, শিক্ষকরা আন্দোলনে ব্যস্ত, অভিভাবকরা টিকটকে ব্যস্ত আর সরকার ব্যস্ত ছাত্রদের কীভাবে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেই নিয়ে!
পড়াশোনাটা করাতে হবে ছেলেমেয়েদের, এটা অভিভাবকরাও আজকাল ভুলে গিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের কেবল পোশাকে আশাকে কীভাবে স্মার্ট করবেন এই চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন।
পাঠক আপনারাই বিবেচনা করুন যে কথাগুলো সত্যি নাকি মিথ্যা?
আর তাছাড়াও, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীন। রক্তাক্ত। বই-খাতা-কলম কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, চাপাতি।
সহপাঠীরা বিভক্ত হানাহানিতে। ক্লাস-পরীক্ষা অনিশ্চিত। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা। হল খালি করার আদেশ। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেই। কর্মসংস্থান শূন্য। ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
এইসবে পড়াশোনা হয়?
এক বছরের অধিক সময় ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই পরিস্থিতি চলছে। প্রতিটি জেলায় একই চিত্র।
শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সন্ত্রাসী কর্মে নিয়োজিত রেখে এক আদিম-অসভ্য-ব্যর্থ প্রজন্ম গড়ে তোলা হচ্ছে।
খুব খারাপ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের এই বছরের ফলাফল।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বাংলাদেশের ২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে এবং সব মিলিয়ে ৫ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থীরা ফেল করেছে! ভয়াবহ একটা দৃশ্য দেশের।
অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে এইচএসসিতে শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ২০২টি। অর্থাৎ এবার শূন্য পাশ প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৩৭টি।
একটা কথা আছে না- গরীবের ছেলেরা অশিক্ষিত রয়ে গেলে, রাজনীতিবিদদেরই লাভ। সেটাই হয়েছে।
