চট্টগ্রাম: আমরা কেবল প্রচুর পরিমাণে চেতনাধারী! চেতনা নিয়ে বসবাস করি। চেতনা নিয়ে লাফালাফি করি। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা ঘটলে কীভাবে অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, সেসব নিয়ে মোটেও ভাবি না।
সেই মান্ধাতা আমলের কয়েকটা লাল পিকআপে করে ধারকর্জ করা পানি দিয়ে এই আগুনের কিছুই করা যায়নি।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এখন পর্যন্ত যা খবর আগুন সেভাবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীও কাজ করছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে আনসার-ভিডিপির ১০০ (একশত) জন সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
এসময় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করে আনসার সদস্যরা পানির সরবরাহ ও সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করেন।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে।
এর আগে সাত ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। থেমে থেমে কারখানাটির ভেতরে ছোট আকারে বিস্ফোরণ হচ্ছে।
দেখা গিয়েছিলো, আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে এক পাশে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। এর মধ্যে আগুন পাশের একটি তিনতলা ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের ভয়াবহতা দেখে আতঙ্কে কাঁপছে দেশের মানুষ।
আগুনের তীব্রতা না কমায় আশপাশের ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
আগুন দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি কোনো হিন্দু ছবির দৃশ্য। কিন্তু আদতে যে কী হচ্ছে তা জানে ভুক্তভোগীরা।
সারা দেশটা ছারখার হয়ে গেছে। মনে করা হচ্ছে, আগুনের রাজনীতি আবার শুরু হয়ে গেছে।
হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হলো। যারা আর কর্মস্থলে যেতে পারবে না তাদের পরিবারের অবস্থা কেমন হবে? দেশটা আগুনে আগুনে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়া হলো!
