কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
ও ভাইরে ও ভাই
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
আমি যেই দিকেতে চাই
দেখে অবাক বনে যাই
আমি অর্থ কোন খুঁজে নাহি পাই রে
ও ভাই অর্থ কোন খুঁজে নাহি পাই রে
ভাইরে ভাইরে
আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
দেখ ভাল জনে রইলো ভাঙ্গা ঘরে
মন্দ যে সে সিংহাসনে চড়ে
ও ভাই সোনার ফসল ফলায় যে তার
দুই বেলা জোটে না আহার
হিরার খনির মজুর হয়ে কানাকড়ি নাই
ও ভাই হিরার খনির মজুর হয়ে কানাকড়ি নাই
ও তার কানাকড়ি নাই
ওরে ভাইরে ভাইরে
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।
**খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার-সুরকার- গীতিকার সত্যজিৎ রায় তাঁর ‘ হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্রে এ গানটি এমনভাবে উপস্থাপন করেছিলেন যে তা এখন আমাদের এই বাংলাদেশের জন্য যথাযথ।
সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ এ বঙ্গের মানে বাংলাদেশেরই অধিবাসী ছিলেন। এ বঙ্গ থেকে অনেকেই চলে গেছেন ওই বঙ্গে মানে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সময়ে। চলে গেছেন মানে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সে প্রসঙ্গ আরেকদিন বলবো।
কিন্তু আজকে এই বিখ্যাত ব্যঙ্গাত্মক কিন্তু অত্যন্ত অর্থবোধক ও প্রাসঙ্গিক এই গানটি হঠাৎ মনে পড়লো। মনে পড়ার কারণটি হলো, গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের নাগরিকদের সাথে যা করা হচ্ছে তা তো ‘রঙ্গই’।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গীবাদ-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী-সামরিক-বেসামরিক কুচক্রীমহল এ বাংলার মানুষকে নিয়ে তামাশা শুরু করেছে। মানুষকে আর মানুষ হিসেবে গণ্য করছেনা মোটেই।
ইউনুসীয় সরকার ও তার দোসররা যা করছে তা দেশ চালানো নয়- প্রতিনিয়ত অভিনয় করছে, নাটক মঞ্চস্থ করছে জনগণের সাথে। আর আমরা নাগরিকরা যেন সেই নাটক দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছি। হাঁপিয়ে উঠেছি। প্রাণটি ওষ্ঠাগত। সব যেন রঙ্গমঞ্চ।
কিন্তু ইউনুসীয় জঙ্গী সরকার শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর যে রঙ্গমঞ্চে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে গত চব্বিশে তার মেটিকুলাস ডিজাইনে পুলিশসহ সাধারণ জনতাকে খুন করিয়েছেন শুধুমাত্র শেখ হাসিনার পতনের জন্য সেটির একটি “ ইনডেমনিটি” চালু করলো।

অর্থাৎ এসব হত্যা-জ্বালাও পোড়াও-থানা লুট-পুলিশ হত্যা ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কোন বিচার করা যাবেনা। এটি অনেকটা ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যার পরে তাঁর সেই হত্যাকান্ডের বিচার না করার যে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিল কালো আইনের মধ্য দিয়ে অনেকটা তাই করা হলো।

কিন্তু এই কাজটি করতে অত্যন্ত সুচতুরভাবে কথিত জুলাই যোদ্ধাদের ( আমি বলি জুলাই-আগষ্ট সন্ত্রাসী) দিয়ে শুক্রবার বিকেলে সংসদ ভবন এলাকায় একটি “ বিক্ষোভ- মারামারি-অগ্নিসংযোগ-পুলিশী এ্যকশন-মিডিয়ায় সহানুভুতিশীল প্রচার” নাটক মঞ্চস্থ করা হলো মাত্র।

আগে থেকেই এটি প্ল্যান করা ছিল এসব নাটক মঞ্চস্থ করে তারপর তাদের কথিত জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে। সত্যি পারেনও বটে এই নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
অনেক অভিনেতা-নাট্যকার তার কাছে ফেল মেরেছে ইতিমধ্যেই। অবশ্য সবটাই যে তার কৃতিত্ব (!) তা নয়, এর মূল চাবিকাঠিতো মার্কিনীদের হাতে। সেই ডিপষ্টেটের ভূমিকা বাংলাদেশে মেটিকুলাস ডিজাইনে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশী আবহে।

এসব দেখে শুক্রবার প্রবীন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোজাম্মেল হোসেন ব্যঙ্গাত্মকভাবেই বলেছেন- “ জুলাই সনদ সাক্ষরের মহা আঞ্জাম সম্পন্ন হয়েছে। তবে নাদান জুলাইযোদ্ধারা পুলিশের বেড়া ডিঙ্গিয়ে কিঞ্চিৎ মুসিবত তৈরি করেছে।

হাঙ্গামা মিটে যাবে আশা করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের ডেথ সার্টিফিকেটে কারা কারা সই করবেন? সুযোগ দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করুন এবং ইউনূসের জাদুঘরে নিজ হাতের কলম ও নিজের তসবির সংরক্ষণ করে দো-জাহানের অশেষ আত্মতৃপ্তি হাসিল করুন”!
*কিন্তু গণহত্যার কখনো ইনডেমনিটি হয়না এটি ভুলে গেছেন ইউনুস ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা।
ড. ইউনূসের অসাংবিধানিক সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, ১৫ই জুলাই থেকে ৮ই আগস্ট পর্যন্ত তাদের মেটিকুলাস প্ল্যানের অংশ হিসেবে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলাও করা যাবে না। সবাইকে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে।

প্রশ্ন হলো- গণহত্যার কি দায়মুক্তি হয়? উত্তর একটাই-না। গত চব্বিশের ৫ই আগষ্টের আরেক নাটের গুরু সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার বলেছিলেন, “আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, সমস্ত হত্যা, সমস্ত অন্যায়ের বিচার আমরা করবো। আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমি সমস্ত দায় দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের জানমাল এবং আপনাদেরকে আমি কথা দিচ্ছি যে আপনারা আশাহত হবেন না।”
সেদিন এই সেনাপ্রধানের এ মধুর মধুর কথা শুনে অনেকেই ভেবেছিলেন, যাক, এবার তাহলে এই নজিরবিহীন অরাজকতা শেষ হলো। কিন্তু হলো তার ঠিক উল্টোটা।

বাংলাদেশের অন্তত ৮০ শতাংশের ওপরে থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করা হলো। নির্বিচারে পুলিশ খুন করে আগুনে পুঁড়িয়ে দেয়া হলো। এই নরপিশাচদের হাত থেকে রেহাই পায়নি অন্তঃস্বত্তা মহিলা পুলিশও। তখন কিন্তু এই ওয়াকারের সেনাবাহিনী তাদেরকে রক্ষা করেনি। কতো হাজার পুলিশ খুন হয়েছে, এখনো সেই সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ হত্যার বিচার শুরু হয়নি। অসংখ্য পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ।
আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায় থেকে রুট লেভেল পর্যন্ত নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করা হলো। কতো নেতাকর্মী খুন হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনীর নিজস্ব বক্তব্য অনুসারেই ৬ শতাধিক নেতা ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা তাদের হেফাজতে ছিলো। এদের কয়েকজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এমনকি মন্ত্রী পর্যায়ের অনেকেই এখনো “নিখোঁজ”। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধসহ সব ধরনের ভাস্কর্য ও স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে।
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। গণভবন লুটপাট করা হয়েছে। সেনাবাহিনী নিজেও লুটপাটে অংশ নিয়েছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্বিচারে লুটপাট- হামলা- আগুন লাগিয়ে পুড়ে দেয়া, খুন, নারীদের সম্ভ্রমহানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।
অনেক হিন্দু পরিবারের সদস্য এমনকি পুরো পরিবারের সবাই ঘরবাড়ি ত্যাগ করে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। কেউ দেশান্তরি হয়েছেন। অনেক উদাহরণ আছে এসবের।
সুপ্রিম কোর্ট, প্রশাসন, পুলিশ থেকে শুরু করে স্কুল-ভার্সিটি পর্যন্ত সর্বত্র জোর করে মারধর করে লোকজনকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। সেখানে জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামী জ’ঙ্গী সংগঠনের লোকজনকে কোনোরকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। জেল থেকে জ’ঙ্গীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এসব দৃশ্যমান ধ্বংসের বাইরে কী পরিমাণ ডকুমেন্ট নষ্ট করা হয়েছে, দৃষ্টির অন্তরালে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনই কিছু জানার কোনো উপায় নেই। মিডিয়ার কণ্ঠও রোধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, জেনারেল ওয়াকার ওভাবে জানমালের দায়িত্ব নেয়ার পরও যখন এমনকি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরও পুঁড়িয়ে দেয়া হলো, সেনাবাহিনী এমনকি তারও প্রটেকশন দিলো না, তখন নিশ্চয়ই অনেকে আশ্চর্য হয়েছিলেন? কিন্তু আমি কষ্ট পেলেও আশ্চর্য হইনি। কারণ বুঝতে পারছিলাম, ওগুলো আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিলো। অবশ্য নোবেল ইউনূস নিজ মুখেই বলেছেন তাদের ‘মেটিকুলাস ডিজাইনের কথা।
এরই অংশ হিসেবে মূলত ৫ই আগস্টের পরবর্তী ৩ দিন সর্বশক্তি দিয়ে এই গণহত্যার বিশাল অংশই বাস্তবায়ন করা হয়। গণহত্যা শুধু মানুষ হত্যাই নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস-ঐতিহ্যেরও ধ্বংস করা হয়েছে।
আর ড. ইউনূস ওই কয়েকদিন ফ্রান্সে বসে ঘটনার ওপর নজর রাখেন। এরপর দেশে ফিরে ক্ষমতা দখল করেন। অনেক সময় হাই প্রোফাইল খুনের মূল পরিকল্পনাকারী যেভাবে সবকিছু সেট করে ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে চলে যান, যাতে কেউ তাকে খুনের সাথে জড়াতে না পারে, ইউনূসও সেই কৌশল প্রয়োগ করেন।
৮ই আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো গণহত্যার অপরাধকে পুরোপুরি দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। কাগজে-কলমে এটি ৮ই আগস্ট হলেও এর পরবর্তীতেও এ ধরনের যত অপরাধ ঘটেছে কোনোটিরই আদতে বিচার হবে না।
যেখানে আইনই করে হয়েছে মামলা করা যাবে না, সেখানে বিচারের তো প্রশ্নই আসে না। বিচার করতে গেলে মেটিকুলাস প্ল্যানের থলের বিড়াল বের হয়ে যেতো। পুলিশ হত্যাই শুধু নয়, ছাত্রসহ সাধারন জনতাকে হত্যার জন্যও যে ইউনূসের জঙ্গীগোষ্ঠী দায়ী।
ওই যে রহস্যময় ৭.৬২ এম এম বুলেটের কথা বলে ব্রিগেডিয়ার শাখাওয়াত তার স্বরাষ্ট্র উপটদেষ্টার পদ হারালেন। যদি বিচারের ব্যবস্থা করা হতো তা নিয়ন্ত্রিত আদালত হলেও সেটি কিছু মাত্রায় উম্মোচিত হয়ে যেতো। মিডিয়া কন্ট্রোল করে যে ন্যারেটিভ ইউনূস দাঁড় করাতে চাইছেন, সেটি এখনই নড়বড়ে। বিচার প্রক্রিয়ায় গেলে একেবারেই প্রকাশ্যে চলে আসতো।
সেটি যতোদিন সম্ভব ঠেকাতেই এই দায়মুক্তির আইন। নির্বিঘ্নে লুটপাট করতে সময় দরকার। বিচার করতে গেলে সেই সময় পাওয়া দুষ্কর।
কিন্তু, এভাবে আইন করেই কি গণহত্যার দায়মুক্তি হয়? হয় না। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরও এরকম ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছিলো। বিচার দেরি করা গিয়েছে, কিন্তু বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। বিচার হয়েছে মানবতাবিরোধী, গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদেরও। তবে আরো বাকী আছে।
বাংলার মাটিতে ড. ইউনূসের মেটিকুলাস প্ল্যানে করা গণহত্যারও বিচার একদিন হবেই। অসাংবিধানিক, জঙ্গী গোষ্ঠীর অবৈধ দায়মুক্তির আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলার জনগণই গণহত্যাকারীদেরকে ফাঁসিতে ঝোলাবে। সময় যতো যাচ্ছে, ততই ক্ষোভ দানা বাঁধছে।
**অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফজলুল বারী লিখেছেন- ওয়াকার জুলাইতে যে দানব তৈরি করেছে সেই দানব এখন তাকে খাওয়ার আয়োজন করে বসে আছে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার কি শুধু মাত্র জাতিসংঘের মিশন বন্ধের হুমকিতে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হয়েছেন? নাহ! এটা ভাবাও বোকামি হবে।
ওয়াকার একটা ধুরন্ধর লোক। তার স্বার্থ আরও বড় ছিল। আর আমরা যদি ৭৫ এর ইতিহাসের পাঠ থেকে শিক্ষা নেই, তাহলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় ওয়াকার একজন জিয়া বা এরশাদ হতে চেয়েছে।
কিন্তু পাশার দান উল্টে যায় শেখ হাসিনা বেঁচে যাওয়াতে! শেখ হাসিনা চলে যাচ্ছে শুনে ওয়াকার আতংকিত হয়ে ফোন করে বলেছে,”স্যার আপনি আমার উপর ভরসা,আস্থা রাখলেন না”। ৫ আগস্ট ওয়াকার শেখ হাসিনাকে হত্যার সকল কাজ সম্পূর্ণ করে, ক্যান্টনমেন্টে বসে জুস খাচ্ছিলো জামাতের আমিরসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথে।
ওয়াকার যা করবে ভেবেছে সব উল্টো হয়েছে। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের উপর গণহত্যায় সরাসরি ওয়াকার বাহিনী জড়িত। ওয়াকার ভেবেছে এসব করলে তার জঙ্গি জামায়াত আব্বা এবং বিদেশি আব্বাদের খুশি করতে পারবে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার খুশিতে যখন ইউনুসগং বগল বাজাবে ওয়াকার তখন জিয়া হয়ে উঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে!
কিন্তু এটা বাংলাদেশ। এখানে দেশবিরোধীদের কুত্তার মত বেওয়ারিশ হয়ে মরতে হয়। এখানে প্রতিদিনই ঋতু পরিবর্তন হয়।
এজন্যই লেখাটির প্রথমে শ্রদ্ধেয় সত্যজিৎ রায়ের স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম। ইউনুস-ওয়াকার রা যত রঙ্গই দেখাক না কেন এই রঙ্গমঞ্চেই তাদের বিচার হবে। তা দেরিতে হলেও হবে। ইতিহাস তাই বলে।
# ইশরাত জাহানঃ লেখিকা, প্রাবন্ধিক ও নারী সংগঠক।
