চট্টগ্রাম: জুলাই স্বাধীনতা উপভোগ করানো হচ্ছে দেশকে। চট্টগ্রাম তথা গোটা দেশ ধ্বংসের কারিগর এই মহাজন ইউনূস!

এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনাল লালদিয়া, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল ৩০ বছরের জন্য বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মিছিল হচ্ছে। ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪টায়
কক্সবাজার পৌরসভার সামনে ‘বন্দর রক্ষা ও করিডোর বিরোধী আন্দোলন’ কক্সবাজার এই ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ চলে।

এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরে হঠাৎ করেই অবরোধ নেমে এসেছে। কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা বর্ধিত প্রবেশ ফি বাতিলের দাবিতে আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বন্দরের সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন।

দেশের অবস্থা বিশৃঙ্খল, আর ইউনূস আছেন জুলাই সনদ নিয়ে ছাতি মাথায় দিয়ে। নাটক, একের পর এক নাটক।

পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৩ অক্টোবর একটি অফিস আদেশে (নং ২২৩/২৫) ভারী যানবাহনের জন্য নতুন প্রবেশ ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করে।

এর সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হওয়ায় মোট ফি দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা, যা আগে ছিল মাত্র ৫৭.৫০ টাকা। কোথায় ৫৭, কোথায় ২৩০।

এত বৃহৎ পরিমাণ ফি বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়েছে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহন সমিতি, চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং প্রাইম মুভার অ্যান্ড ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা যৌথ বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এটি কী করে সম্ভব?

তারা জানায়, প্রধান অংশীদারদের সাথে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই এই ফি চাপিয়ে জোর করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের গাড়ির বন্দরে প্রবেশ ‘অস্থায়ীভাবে স্থগিত’ থাকবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *