ঢাকা: সব আসামি, জঙ্গীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ইউনূসের আমলে আসামিরা একে একে খালাস হচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের প্রশ্ন করছেন, আমরা কি ভুল করেছিলাম?এমন হয়েছে বাংলাদেশের সময়।
পিলখানা হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি দিয়ে দেয়া হয়েছে বাউফলের মনজুরুল ইসলাম মনজুকে। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কবিরকাঠি গ্রামের ফয়জর আলী সিকদারের ছেলে।
বুধবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। তারপর বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে আসার পর স্থানীয় জামায়াত নেতা কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা পর্যন্ত জানান।
এই আসামিকে নাকি বিনা অপরাধে কারাবরণ করতে হয়েছে!?
নিজেকে নির্দোষ দাবী করে মনজুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে বিনা অপরাধে কারাবরণ করতে হয়েছে।
আমরা সবাই জানি, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে যা ঘটেছিল, তা শুধু মামুলি কোনো বিদ্রোহ ছিল না, ছিল সুপরিকল্পিত একটি গণহত্যা।
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের অনেকের লাশ পাওয়া গিয়েছিল পয়ঃনিষ্কাশন ট্যাংক থেকে। কী বিকৃত সময়।
সেদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন, তারা ছিলেন এই দেশের সেরা সন্তান – সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতিশীল অফিসার, যারা দেশের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
২০২৫ সালে এসে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিরা। ৯ জনকে ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, আরও ৪ জনের মুক্তি আসন্ন।
মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহযোগী জামায়াতে ইসলামীর এই পদক্ষেপ কি বার্তা দিচ্ছে? ভয়াবহ বার্তা ভবিষ্যতের জন্য।
যারা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় ১৬ বছর অপেক্ষা করেছেন, তাদের কাছে কি এই জামিন বিশ্বাসঘাতকতা নয়? কী করছে এই সরকার?
এখন তো সরকারের ভিতরে আরেক সরকার আছে। সেটা জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, যারা গণহত্যায় সহায়তা করেছিল, তারাই এখন ইউনূসের সাথে হাত মিলিয়ে দেশ চালাচ্ছে। এবং তাদের প্রথম কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো পিলখানা হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া।
সেনাবাহিনীর মনেও আজ প্রশ্ন জাগবে যে কী হলো?
