চট্টগ্রাম: জয় বাংলা স্লোগান ভয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার বাহিনীর।

‘জয় বাংলা’ কখনোই কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্লোগান নয়।’বাংলার জয়’ শব্দ দুটি ছিল বাঙালির ভাগ্য গঠনে চেতনা, ঐক্য, দেশপ্রেম ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।

মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্ন থেকে’পাকিস্তান জিন্দাবাদ’র বদলে সর্বত্র ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে।

এই জয় বাংলাকে ভীষণ ভয় পায় ইউনূস গং। জয় বাংলা বললে মামলা দিচ্ছে, কারাগারে ভরছে।

তবে স্লোগান থেমে নেই। এবার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীরা আনন্দে জয় বাংলা স্লোগানে মেতে উঠেছে।

যত বেশি বাঁধা আসবে তত বেশি বাঁধাহীন হবে প্রজন্ম। যত মুখ চেপে ধরা হবে তত আওয়াজ করে বলা হবে ‘জয় বাংলা’।

এবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানসহ ১৩৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে ইউনূসের পুলিশ।

তাঁরা খুন, মব করেননি। কেবল জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে আনোয়ারা থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি (৫২), রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, প্রকাশ পি.এস সায়েম (৩৮), এম এ কাইয়ুম শাহ (৪৭), রেজাউল করিম অনিস (৪৩), অসীম কুমার দেব (৪৮), আমিন শরীফ (৫০), মাস্টার মো. ইদ্রিচ (৬০), ইয়াছিন হিরু (৫০), কাজী মোজাম্মেল হক (৫৮), মহসিন আলম (৪২), নজরুল ইসলাম (৪০), বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ (৪৫), রাশেদ নেওয়াজ ছুট্ট মেম্বার (৫২), শিহাবুজ্জামান প্রকাশ সিহাব উদ্দিন (৩৫), জাফর উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ ভিপি জাফর (৬০), ছগির আহমদ আজাদ (৫২), শাহাজাদা এস এম মহিউদ্দিন (৫৫), ইমরান হোসেন বাবু প্রকাশ পিএস বাবু (৩৮), জসিম উদ্দিন আমজাদি (৫৫), এম এ হান্নান চৌধুরী মঞ্জু (৬৫), অজিজুল হক চৌধুরী নসু (৫৫), সাজিয়া সুলতানা (মহিলা মেম্বার) (৪০), রনি বল (৩৬)সহ সর্বমোট ৬৮জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং বাকি ৬০-৭০ জন অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে নাকি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘সকালে এসআই আবুল বাশার কর্তৃক অভিযোগ পেয়ে মামলাটি রুজু করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।’

অথচ এই পুলিশবাহিনী ডাকাত, সামান্য মাদক মামলার চোর ধরতেও পারেনা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *