ঢাকা: দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে প্রতিদিন এইভাবে অগ্নিকাণ্ড কোনো নিরীহ ঘটনা না। সন্দেহ জাগছে মনে!
সংস্কারের নামে এই সরকার পুড়িয়ে দিচ্ছে হাজারো ব্যবসায়ী ও প্রবাসীর স্বপ্ন।
সচিবালয়ে আগুন, বন্দরে আগুন, মিলসে ফ্যাক্টরিতে আগুন, গুদামে আগুন, বিমানবন্দরে আগুন,নদী নালা খালে বিলে জঙ্গলে সমতলে মায়ের কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় লাশ আর লাশ, আর কতো? আর কতো সইবে?
এখন লেগেছে বিমানবন্দরে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি তো নষ্ট হয়ে গেছে।
শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনাটি কার্গো স্টাফদের নজরে আসে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির আমদানি করা পণ্য ওই কার্গো ভিলেজ রাখা ছিল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় কোটি কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বিমানবন্দরে নিজস্ব অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং দমকল বাহিনী ছাড়াও ঢাকা মহানগর দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন নেভাতে নেমেছে সেনা ও নৌ সেনার দমকল বাহিনী।
মনে হয়, স্মরণকালের মধ্যে ঢাকা বিমানবন্দরে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের নজির নেই। প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেছে। কোনো হতাহতের খবর নেই এখনো পর্যন্ত।
এদিকে, এই বিপদে ভারত আবার পাশে। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার কারণে ঢাকাগামী কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কলকাতার সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
দিল্লি থেকে ঢাকাগামী ইনডিগোর একটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে কলকাতায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ঢাকাগামী এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট অবতরণ করেছে চট্টগ্রামে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে সেগুনবাগিচার লিমন হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ীর ৭ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন।
