ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জনগণকে কাঠের পুতুল পেয়েছে। যেমনি নাচাচ্ছে তেমনি নাচছে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা দিয়েই চলেছে ইউনূস গং।
দেশে বিদেশে বিশাল বিশাল ভাষণ দিয়ে দেখাচ্ছে আমার দেশ কত ভালো আছে। আর আমি (ইউনূস) চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশকে ভালো পথে চালিত করার! অথচ এইগুলো সব ষড়যন্ত্র!
দেশের এত এত ক্ষতি, পুড়িয়ে ছারখার- কারা করলো? দেশবাসী দেখেছে।
দেশের ৫০০ থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শত শত কারখানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সচিবালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলছে, দেশের একটা আওয়ামী লীগ অফিস রাখা হয়নি সব পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীর ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, যেখানে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলো ধানমন্ডি ৩২ এ, সেই ধানমন্ডি ৩২ পুড়িয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।
একটি কি মামলা হয়েছে?একজন আসামীও কি আজ পর্যন্ত ধরা হয়েছে?
রাজাকার বাহিনীর পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হবার যন্ত্রণা এখনো যায়নি।
এখন নির্বাচনী মুলো ঝুলিয়ে শেষ মুহূর্তে বানচাল করার কায়দা খুঁজছে ইউনূস।
শেষে বলবে-‘আমাদের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারলাম না।’
এখনকার আগুন জ্বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রেমিটেন্স আয়ের শিল্প ধ্বংস করে দাতা সংস্থাগুলো থেকে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলের’ টাকা এনে দাসদের মধ্যে বিলি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে।
আর সরকার দায় চাপানোর চেষ্টা করছে ‘পাশ্ববর্তী দেশের’ ওপর। তারা নাকি ‘আমাদের উন্নতি দেখে হিংসায় স্যাবোটাজ ঘটায়’!
এই ধাপ্পাবাজদের কাহিনী অজানা নয়। এরা বন্দর, এয়ারপোর্ট, ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করে দায় চাপাবে অদক্ষ পরিচালনার। তারপর বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দেবে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস টিম থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- “দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত” সাম্প্রতিক এসব অগ্নিকাণ্ড ‘নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত’ হলে অথবা ‘আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টির’ লক্ষ্যে ঘটানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পেলে সেগুলো ‘মোকাবিলা’ করার কথাও বলা হয়।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা ‘গভীরভাবে তদন্ত করছে’ জানিয়ে এতে বলা হয়- “নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।
কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না”।
হুমকি কেবল হুমকি!
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণ হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।
বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবেলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
