ঢাকা: জামাতি নেতা প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন আগামী এক সপ্তাহে সারাদেশে অনেক গুলো ঘটনা ঘটবে, তাঁর কথা বাস্তবায়ন হয়েছে।
এই তাজুল ইসলামের নেতৃত্বেই সারা দেশে প্রচুর পরিমাণে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এই কথা এখন উঠছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই।
এবং তাজুল ইসলাম এর দল জামাতে ইসলামী সহ ইউনুস এবং ইউনুসের উপদেষ্টারা সরাসরি জড়িত আছে দেশে বিগত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া বিধ্বংসী ঘটনাগুলোর সাথে।
এতো আগাম বাণী তিনি জানলেন কীভাবে?
দেশ বিরোধী তাজুলের মন্তব্যের পরবর্তী সময়ের পর প্রতিটি ঘটনা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে, এসব কিসের আলামত?
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কেন ফায়ার বিগ্রেডকে প্রবেশের অনুমতি দিলো না? কেন ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন বাড়তে দেয়া হয়েছে? এর জবাব আছে সরকারের কাছে?
দেশ ও দেশের অর্থনীতি আজ গভীর ষড়যন্ত্রের ভেতর যাচ্ছে, ধ্বংস অনিবার্য।
এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকগুলো ঘটনা ঘটবে বলে জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার (৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে আলোচিত গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করা হবে। এটা গতকালই বলে দিয়েছি, খুব শিগগিরই এ সপ্তাহের মধ্যে এটার (গুমের মামলার) বেশ অনেকগুলো ঘটনার কথা বলেছি, অনেকগুলো ঘটনা ঘটবে, আপনারা দেখবেন। আমরা আজকে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না।
তিনি কী বলতে চান? তিনি কি গণকঠাকুর? তিনি আগাম ঘটনার কথা বললেন কীভাবে এত আত্মবিশ্বাসের সাথে? এতেই তো সন্দেহ আরো দানা বাঁধছে।
তারপরেই দেখা গেলো ১৪, ১৬ ও ১৮ই অক্টোবর দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগুন লাগে যা ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
শুধু এই কথাটাই কি প্রমাণ করেনা যে এসবের পিছনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাজুল ইসলামরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিটা ঘটনার প্যাটার্ন আপনারা লক্ষ্য করুন!
এর ফলাফল স্বরুপ একদিকে দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের উপরে আর অন্য দিকে হাসিল হচ্ছে তাদের বিদেশি কোন এজেন্ডা।
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে দিয়ে নির্বাচন না করে দেশটার পিণ্ডি চটকানোর ইচ্ছা আরো রয়ে গেছে এই রাজাকার বাহিনীর।
আপনাদের আরো মনে থাকার কথা, এই তাজুল ইসলামই কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা (বানানো) অডিও কল রেকর্ড বের করে এবং মন্তব্য করে ‘এটা জাস্ট শুধু ট্রেলার, সামনে আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন’- তারপর কিছু দিন ধরে একের পর এক (বানানো) অডিও কল রেকর্ড মার্কেটে ছাড়া হয় এবং কোর্টে উপস্থাপন করা হয়।
আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গত কাল বিমানবন্দরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তারা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেনি।
উপস্থিত মানুষের প্রশ্নে তারা জানায়, তারা এখনো কাজ শুরু করার অনুমতি পায়নি।
দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে বিলিয়ন ডলারের পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছে তারা আগুন নেভানোর জন্য কাজ শুরু করার অনুমতি পায়নি? আচ্ছা এখানে কিসের অনুমতি লাগতো?
তার মানে সব পুড়ে যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তখন অনুমতি দেয়া হলো?
এই ঘটনাগুলো কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে?
এসব থেকেই বোঝা যায়, এই ঘটনাগুলো তাজুল ইসলামদের সাজানো ঘটনা।
