চট্টগ্রাম: দেশের অবস্থা শোচনীয়। অধিকাংশ বেকার, সংসার চলে না। লাভের আশায় বিদেশে গিয়েও সেখান থেকে লাশ হয়ে ফিরছে এক একজন।
স্বপ্ন পূরণের আশায় নিজের দেশ ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিল দূর প্রবাসে কিন্তু সেই স্বপ্ন কফিনবন্দী হয়ে ফিরলো।
আসলে সাধারণ মানুষের জীবন একদম শাঁখের করাত হয়েছে। এদিকেও কাটে, ওদিকেও কাটে।
ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের মোট ৮ জন প্রবাসী নিহত হয়েছেন।
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট প্রবাসীর লাশ দেশে ফিরেছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাঁদের মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে কান্নার রোল পড়ে যায়। কী করবে এই পরিবারগুলো? লাশগুলো হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে।
শেষবারের মতো সাগর পাড়ি দিতে সাতজনের লাশ নেওয়া হয় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাটে। সেখান থেকে সন্দ্বীপে নেওয়া হয় রবিবার সকালে।
নিহতরা হলেন— সারিকাইতের আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন ও মো. বাবলু, মাইটভাঙার মো. জুয়েল, রহমতপুরের মো. রনি এবং রাউজানের চিকদাইরের ইউসুফের ছেলে।
ওমানে দুর্ঘটনাটি ঘটে গত ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায়।
মাছবাহী একটি বড় ট্রাকের বেপরোয়া ধাক্কায় সন্দ্বীপের সাত প্রবাসীসহ আটজনের মৃত্যু হয়।
