ঢাকা: দেশে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে টার্গেট বারবার। এগুলো কোনো নিরীহ ঘটনা নয়।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র এবং দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রবেশদ্বার, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে সর্বনাশা আগুন।
এটি নিছক কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। ষড়যন্ত্রের অংশ। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে খাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। একদিন সব খাওয়া শেষ হয়ে গেলে উড়ে যাবেন মহাজন।
এই অগ্নিকাণ্ড জন্ম দিয়েছে গভীর সংশয়। প্রশ্নবিদ্ধ করেছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি তো আছেই। ক্ষয়ক্ষতির সীমা নেই।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র সরাসরি আর্থিক ক্ষতি নয়, আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে কাঁচামালের অভাবে অর্ডার বাতিল, অতিরিক্ত ব্যয় ও সময়ের অভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল।
একটা সাজানো গোছানো দেশটা পুরো ছাঁই হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র একটি রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছিলো প্রতিহিংসার রাজনীতি সব কিছু এলোমেলো করে দিচ্ছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।
তবে পরিমাণ আরো বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্ট যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে কেবল ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
