চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর, করিডোর, সেন্টমার্টিন বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সব বিকিয়ে দিয়ে ডঃ ইউনুস গণতন্ত্রকে হত্যা করে উগ্রপ্রন্থীদের নিয়ে দেশকে সিরিয়া, লিবিয়া,আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায়। বড় দুঃখ হয় আজ বাংলাদেশের এই হাড় জিড়জিড়ে অবস্থা দেখে!
এর আগেও প্রতিবাদ হয়েছে। আজ আবার হলো।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।
আজ বুধবার সকালে নগরীর আগ্রাবাদ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।
তবে ইউনূসের পুলিশ বাধা প্রদান করে, কারণ তারা হচ্ছে ইউনূসের ট্রেনিংপ্রাপ্ত।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
বন্দরের লাভজনক টার্মিনাল বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্রমিকরা রাজপথে নামলে পুলিশ বাধা সৃষ্টি করে।
এই অবস্থায় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়।
বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্দর এলাকার অভ্যন্তরে সব ধরনের মিছিল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিক্ষোভকারীদের থামিয়েছি। পরে বিক্ষোভকারীরা সেখানেই তাদের কর্মসূচি শেষ করে।
শ্রমিক নেতারা বলেন, বন্দরকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বন্দরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে দেওয়া হবে না।
বন্দর লাভজনক প্রতিষ্ঠান, নিজেদের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদেশীদের দেওয়া হলে তাতে দেশের কোনো লাভ হবে না।
শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, দেশের বন্দর বিদেশীদের দিলে বর্হিশত্রুর হুমকির মুখে পড়বে বন্দর। এসময় সরকারকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে আহ্বান জানান তারা। অন্যথায়, শ্রমিক-কর্মচারীরা মিলে বন্দর রক্ষার আন্দোলনে নামবেন তারা।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সমাবেশ থেকে আগামী ১ নভেম্বর তারিখে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, বন্দর এলাকায় মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরে সেখানেই কর্মসূচি শেষ করা হয়।
