ঢাকা: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক মোড় নেয়। সেই মোড়ে সোনার বাংলাদেশ জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে গেছে।

ব্যাপক গণবিক্ষোভে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মুখে পড়ে, শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। এই আন্দোলন, যা প্রথমে ন্যায্যতা ও সংস্কারের দাবিতে শুরু হয়েছিল, তখন অনেকেই তাকে ‘বিপ্লব’ হিসেবে দেখেছিলেন।

কিন্তু আজ এক বছর পর সবাই বুঝতে পারছেন আসলে ঘটনা কী ছিলো! একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশ ভয়াবহ দমন-পীড়ন, উগ্রবাদ এবং সাংবিধানিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।

এটি ছিলো গণতন্ত্র ধ্বংসের পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আবু সাইদ ঘটনা ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের অংশ। এটি যে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন ছিলো তা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন ইউনূস।

আর এখন রাজাকার, জঙ্গীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বিচার হচ্ছে। বিচার হচ্ছে শেখ হাসিনার যিনি দেশটা পশ্চিমের কাছে বিক্রি করে দেননি।

মানবতাবিরোধী অপরাধ করলো কে, আর কার বিচার হবে!

জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় কবে হবে তা জানা যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর।

বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য শেষে এ ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার।

এদিন ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসামিদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

উল্লেখযোগ্য যে, এই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি।

তাদের মধ্যে মামুনকে জোর জবরদস্তি ভয় দেখিয়ে বানানো হয়েছে রাজসাক্ষী।

৫ আগস্টের পর দেশটার উপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এখনো চলছে তাণ্ডব।

১৯৭১ সালের ইতিহাসের ওপর হামলা চলে, স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলোতেও চলে হামলা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাস করতেন, তাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

দেশজুড়ে ভাঙচুর করা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, মূর্তি ও দেয়ালচিত্র—যা বাংলাদেশের ইতিহাস ও পরিচয় মুছে ফেলার চক্রান্তের অংশ।

কিন্তু এদের বিচার হয়েছে? হবে না! কারণ শাসন করছে রাজাকারের দল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *