হবিগঞ্জ: ইউনুসের সরকার একটি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সরকার। তারা জাতির পিতার নাম মুছে দিতে চায় বাংলাদেশে থেকে, মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি মুছে দিতে চায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে দিনে দুপুরে। মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেয়, আর ধর্ষককে দেয় ফুলের মালা!
বাংলাদেশের ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তপাতের নানান অধ্যায়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুস সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচারের ছবি সামনে আসছে।
মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সর্বোপরি একটি দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসটাই মুছে ফেলতে একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে।
কট্টরপন্থী জামাতদের বন্ধু ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে যে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর, তার প্রমাণ পেতে দেশবাসীর আর বাকি নেই।
এবার আবারো পৈশাচিক, মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে দেশে। ছিঃ! ধিক্কার!
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর হাওর থেকে মানিক লাল দাশ (৭০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মুক্তিযোদ্ধা মানিক লাল দাশকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। এখানে আর দ্বিমত নেই জনগণের। এর বাইরে আর কোনোকিছু ভাবাও যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের চরগাঁও এলাকার শৌলাগড় হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক লাল দাশ ওই ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত রসময় দাশের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে প্রতিদিন যেভাবে মতো হাঁটতে বের হতেন, সেভাবেই বের হয়েছিলেন মানিক লাল বাবু। কিন্তু এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। আশ্চর্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেলেন।
পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জেলেরা হাওরে লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এই ঘটনা বা আগের ঘটনাগুলোর যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন কিছু? আমাদের দেশটা কোন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে?
